উদ্ধার হওয়া পাখির ছানা।
জমজমাট রথের মেলায় বিক্রির জন্য খাঁচায় ভরে আনা হয়েছিল পাহাড়ি টিয়ার ছানা-সহ প্রায় ৪৫ টি পাখি। পাখি বিক্রির বিষয়ে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার ভোরে বন দফতরের আধিকারিক- কর্মীরা হাজির হয়েছিলেন মেলায়। আর খাঁচায় ভরে টিয়া পাখি আসতেই হাতেনাতে ধরা হয়। যদিও পালিয়ে গিয়েছে পাখি বিক্রির ব্যবসায়ীরা।
এ দিনই সকালে কাঁথির কালীনগর হাটে বন দফতরের বাজকুল রেঞ্জের অফিসার কর্মীরা এক মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৩ টি কচ্ছপ উদ্ধার করেছে। জেলা বন দফতরের আধিকারিক স্বাগতা দাস বলেন, ‘‘ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ টিয়া পাখি ডিম পাড়ে। এই সময় পাখি শিকারিরা তা ধরে বিক্রি করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে গোপনে খবর পেয়েই ৪৫ টি চন্দনা টিয়া পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। মেলায় যাতে কোনও পাখি বিক্রি না করা হয় সে জন্য মেলা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে।’’ তিনি আরও জানান, উদ্ধার করা কচ্ছপগুলি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির। মাছ ব্যবসায়ীদের একাংশ এই কচ্ছপ বিক্রির সাথে জড়িত। উদ্ধার হওয়া টিয়া ও কচ্ছপ আলিপুর চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয়েছে।’’
একই দিনে জেলার দুই এলাকা থেকে টিয়া পাখি এবং কচ্ছপ উদ্ধারের ঘটনায় বন দফতরের সাফল্যের পাশাপাশি এটাও স্পষ্ট যে, সরকারি বিধি না মেনেই এইসব বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাণী ও পাখি বিক্রির ব্যবসা চলছে। কয়েক মাস আগে জেলার তমলুকে এলাকায় দুই বাঘরোলকে পিটিয়ে মারার ঘটনার পর বন দফতর বিলুপ্ত প্রায় প্রাণী, পাখি রক্ষার জন্য সচেতনতা অভিযান শুরু করে। তারপরই স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পাঁশকুড়ার জিয়াদা গ্রাম থেকে পাঁচটি বাঘরোল ছানা উদ্ধার করে বন দফতর। সেগুলিকে উদ্ধার করার পর আলিপুর চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয়। এদিন ফের স্থানীয় বাসিন্দার কাছ থেকেই খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে টিয়া পাখি ও কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy