ফাইল ছবি
বিজেপির রাজ্য সভাপতির খাসতালুক। সেখানেই দলের ডাকা বাংলা বন্ধ সফল করতে মরিয়া ছিল বিজেপি। ভাঙচুর হয়েছে সরকারি বাস। পক্ষে-বিপক্ষে পথে নেমে সংঘর্ষে জড়িয়েছে তৃণমূল-বিজেপি। জখম হয়েছেন এক মহিলা-সহ দুই বিজেপি কর্মী। গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপি-র মহিলা মোর্চার সভানেত্রী-সহ তিনজনকে। শহরে দিনভর বন্ধ ছিল দোকানপাট, একাধিক ব্যাঙ্ক। চলেনি বাস-অটো।
দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নির্বাচনী কেন্দ্র খড়্গপুরে বন্ধ সফল করতে গত কয়েকদিন ধরেই মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছিল বিজেপি। সেই মতোই এ দিন সকাল থেকেই পথে নেমেছিলেন কর্মী-সমর্থকেরা। পাল্টা মিছিল দেখা যায় তৃণমূলের। তবে বন্ধ ছিল গোলবাজার, ইন্দা, খরিদা, গেটবাজার, নিউ সেটলমেন্ট, মালঞ্চ এলাকার দোকানপাট, শপিংমল। অধিকাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কও খোলেনি। কয়েকটি জায়গায় পুলিশের উপস্থিতিতে এক-দু’টি ব্যাঙ্ক খুলতে দেখা যায়। ইন্দা মোড়ে খড়িকামাথানি যাওয়ার পথে সরকারি বাসে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এর পরেই অশান্ত হয়ে ওঠে শহর। বাসস্ট্যান্ডে বিজেপির সমর্থকেরা যেতেই তেড়ে আসে তৃণমূলের সমর্থকেরা। দু’পক্ষের হাতাহাতির সময়ে জখম হন বিজেপি-র নেতা সজল রায় ও নেত্রী বি সোমা। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। তার পরেই নামে বিশাল পুলিশবাহিনী। জোর করে বন্ধ সফল করার চেষ্টায় গ্রেফতার করা হয় বিজেপির মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী উজ্জ্বলা সাহা, শহরের নেতা বাদল দাস-সহ তিনজনকে।
বন্ধের জেরে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষকে। বাসের অপেক্ষায় ইন্দা মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ঘাটালের বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র সন্দীপ চৌধুরী বলেন, “বিলাসপুর থেকে খড়্গপুরে ট্রেনে এসেছি। তার পর দু’ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করেও বাড়ি যেতে পারছি না। খুব দুর্ভোগে পড়েছি। এই বন্ধ তবে কার স্বার্থে!” তৃণমূলের শহর সভাপতি রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, “শহরে স্বতঃস্ফূর্ত বন্ধ হয়নি। প্রথমে বিজেপি জোর করে বন্ধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু বিজেপি সকাল ১০টার পরে ঘরে ঢুকে গিয়েছে। শহরের মানুষ বনধে ঝুঁকি নিতে চায় না। তাই কয়েকটি জায়গায় দোকানপাট বন্ধ ছিল।” যদিও শহরের বিধায়ক প্রতিনিধি বিজেপি নেতা প্রেমচাঁদ ঝাঁ বলেন, “বন্ধ ১০০শতাংশ সফল হয়েছে খড়্গপুর শহরে। তৃণমূলের দুষ্কৃতী ও পুলিশ মিলে বনধ ব্যর্থ করার অনেক চেষ্টা করেছে। নিজেরাই বাস ভেঙে আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। আমাদের লোককে মেরেছে। মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
কেশিয়াড়িতেও বন্ধে সাড়া পড়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেশিয়াড়িতে বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি এর কারণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এ দিন কেশিয়াড়ির সমস্ত দোকানপাট, স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল। চলেনি যানবাহন। এমনকী, কয়েকটি সরকারি অফিসও বন্ধ করে দেয় বিজেপির সমর্থকেরা। হাতিগেড়িয়ায় দোকান বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। তবে সবং, পিংলা, ডেবরা, দাঁতন, মোহনপুর, খড়্গপুর গ্রামীন, নারায়ণগড়-সহ মহকুমার অন্যত্র বন্ধে মিশ্র প্রভাব পড়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy