Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

পিছিয়ে নেই পদ্ম শিবিরও

লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হবে যে কোনও দিন। তার আগে প্রকল্প উদ্বোধন ও শিলান্যাসের হিড়িক পড়েছে জেলায়।

কেশিয়াড়িতে দিলীপ। নিজস্ব চিত্র

কেশিয়াড়িতে দিলীপ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৯ ০৬:৩৩
Share: Save:

লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হবে যে কোনও দিন। তার আগে প্রকল্প উদ্বোধন ও শিলান্যাসের হিড়িক পড়েছে জেলায়। রাজ্য ও কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন কোনও দলই বাদ যাচ্ছে না। শুক্রবার কেশিয়াড়িতে রাষ্ট্রীয় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন খড়্গপুরের বিধায়ক তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার থেকেই এই কেন্দ্র চালু হয়ে যাবে। উদ্বোধনের সময়ে ওই কেন্দ্রে কোনও আলো না থাকায় ক্ষুব্ধ হন দিলীপবাবু। এটি কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রকল্পের আওতায় ওই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা কেন্দ্রটি তৈরি হয়েছে। সেখানে ৫ টাকার বিনিময়ে রোগী দেখা হবে। ওষুধ দেওয়া হবে বিনামূল্যে।

অনুষ্ঠানে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা দলের নামে স্লোগান দিতে শুরু করলে দিলীপবাবু অবশ্য তাঁদের থামিয়ে দেন। তাঁকে বলতে শোনা যায় ‘এটা দলীয় কর্মসূচি নয়।’ তবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বিঁধতে ছাড়েননি তিনি। বলেন, ‘‘সরকারি হাসপাতালে গেলে দেখা যাবে হয়তো কেন্দ্রের টাকায় বাড়ি হয়ে গেছে। দিদির শাড়ির মতো তার রং নীল-সাদা। ঢুকে দেখবেন ডাক্তার নেই। ডাক্তার থাকলে নার্স নেই। নার্স থাকলে বেড নেই। বেড থাকলে ওষুধ নেই। আমরা চাই কম পয়সায় গরীব লোকের ঠিক চিকিৎসা হোক।’’

কেশিয়াড়ির এই প্রকল্পটি খড়্গপুরের বিধায়ক কেন উদ্বোধন করলেন সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল। কেশিয়াড়ি ব্লক তৃণমূল সভাপতি পবিত্র শীটের দাবি, ‘‘ওঁরা কোনও প্রোটোকল মানেন না। গায়ের জোরেই এসব করছেন।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘স্বাস্থ্যে রাজ্য সরকার যেভাবে পরিষেবা দিচ্ছে সেখানে এসব করে মানুষের মন পাওয়া যাবে না।’’ বিজেপির দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি সনাতন দোলাইয়ের বক্তব্য, ‘‘বিধায়ক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।’’ অন্যদের মধ্যে ছিলেন জাতীয় হোমিওপ্যাথি প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি প্রলয় শর্মা, পশ্চিমবঙ্গ আয়ুস প্রচার ও প্রসারের সভাপতি অমিয় সরকার।

এ দিন গোপীবল্লভপুরেও রাষ্ট্রীয় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন দিলীপ। কেন্দ্রটি সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত খোলা থাকবে। সেখানে তিনি দাবি করেন, ‘‘জঙ্গলমহলে চিকিৎসার অসুবিধা রয়েছে।’’

এ দিনই গড়বেতার গনগনির শালডাংরায় কাঠের সাঁকোর শিলান্যাস করেন গড়বেতার বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সাঁকোর জন্য রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ওই এলাকায় স্থায়ী সেতুর দাবি দীর্ঘদিনের। এতদিন গড়বেতা ব্লক অফিস, হাসপাতাল, কলেজ-সহ বাজার এলাকায় আসতে আগরা পঞ্চায়েত এলাকার ১০-১২ টি গ্রামের বাসিন্দাদের শিলাবতী নদীর উপর নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই ছিল ভরসা।

বর্ষাকালে বা নদীতে জল বাড়লে সেই সাঁকো ডুবে গেলে আগরা পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা প্রায় বিছিন্ন হয়ে যেত। উপায়ন্তর না থাকায় ধাদিকা হয়ে ১৫ -১৬ কিলোমিটার ঘুরে ব্লক শহর গড়বেতায় আসতে হত তাঁদের। বাঁশের বদলে কাঠের সাঁকো হলে সেই সমস্যা কিছুটা মিটবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Inauguration TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE