আগাম দেওয়াল দখল বিজেপির। নিজস্ব চিত্র
নেতাদের কথার প্রতিফলন দেওয়ালেও! বিজেপির নেতৃত্ব মুখে বলছেন, চলতি বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের যে উত্থান শুরু হয়েছে, ২০১৯-এর লোকসভা ভোট হয়ে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তা পূর্ণতা পাবে। সেই মতোই আগামী চার বছরের জন্য দেওয়াল দখল শুরু করে দিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা।
পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় নজরে পড়ছে এমন সব দেওয়াল। কোনওটায় লেখা, ‘অল ওয়াল ফর বিজেপি’, কোনওটায় লেখা, ‘এসএফ ’১৮-২১’। এসএফ মানে ‘সাইট ফর’। তবে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব জানাচ্ছেন, এ বিষয়ে দলের কোনও নির্দেশ নেই। এলাকার পরিস্থিতি বুঝে স্থানীয় কর্মীরাই এটা করেছেন। বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশ বলেন, “ফাইনাল তো ২০২১ সালেই হবে। এখন থেকে প্রস্তুতি সেরে রাখতে ক্ষতি কি!” তাঁর কথায়, “এ বছর কোয়ার্টার ফাইনাল হল। পরের বছর সেমিফাইনাল হবে। আর ফাইনাল ২০২১ সালে হবে। আমরাই জিতব!” যা শুনে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির কটাক্ষ, “অলীক কল্পনা কেউ করতেই পারে। তাতে কী এসে যায়!”
পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলে সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের ফল তুলনায় খারাপ হয়েছে। গোয়ালতোড়, শালবনি এবং কেশিয়াড়ি— এই তিন ব্লকে ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। এর কারণ খুঁজতে শাসকদলের অন্দরে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। ফলাফল পর্যালোচনায় সম্প্রতি মেদিনীপুরে এসেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। গণনায় কারচুপির অভিযোগে কেশিয়াড়ি এবং গোয়ালতোড়ে বিজেপির ডাকা বন্ধে সাড়াও পড়েছে। বিজেপির বাড়বাড়ন্তে কি দলের কর্মীরা চাপে রয়েছে? তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিতবাবুর দাবি, “একেবারেই নয়। এখানে বিজেপি কোনও ফ্যাক্টর নয়!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy