হাতির দলকে চাঁদরা থেকে ঝাড়খণ্ড সীমানায় নিয়ে যেতে বৃহস্পতিবার থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে অভিযান শুরু করল বন দফতর। ঠিক হয়েছে, হাতিগুলিকে প্রথমে পিরাকাটা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেও আর এক দল হাতি রয়েছে। একটি দল ছিল মৌপালের জঙ্গলে। মৌপালের দলটিকে বুধবার অভিযান চালিয়ে পিরাকাটায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল বন দফতর। যদিও শেষ পর্যন্ত অভিযান সফল হয়নি। কিছুটা এগিয়ে হাতির দলটি থেকে গিয়েছে কালীবাসার জঙ্গলে।
বন দফতরের পরিকল্পনা অনুযায়ী, চাঁদরার হাতির দলকে পিরাকাটায় নিয়ে যাওয়া গেলে পুরো দলটিকে লালগড় নিয়ে যাওয়ার জন্য অভিযান চালানো যেত। কিন্তু একটি দল কালীবাসায় থেকে যাওয়ায় কিছুটা ধাক্কা খেল অভিযান। বন দফতর জানিয়েছে, যেহেতু বৃহস্পতিবার থেকেই চাঁদরা রেঞ্জের হাতিগুলিকে সরাতে কেন্দ্রীয়ভাবে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া ছিল, তাই এ দিন আর কালীবাসা থেকে হাতির দলকে পিরাকাটায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়নি। আগে চাঁদরার হাতির পালকে পিরাকাটায় নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর কালীবাসার দলটিকে পিরাকাটায় নিয়ে গিয়ে প্রায় ১৩০টি হাতিকে একসঙ্গে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হবে লালগড়ে। সেখান থেকে মালাবতী হয়ে ঝাড়খণ্ড সীমানা। মেদিনীপুর বন বিভাগের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা জানান, বনসুরক্ষা কমিটি, পঞ্চায়েত ও স্থানীয় মানুষের সাহায্য নিয়ে দলটিকে যতটা সম্ভব এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হবে। তাঁর কথায়, “আশা করছি, কোথাও বাধা না পেলে হাতির দলটিকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।” এ বার হুলাপার্টির পাশাপাশি হাতি অভিযানের বিশেষ হাড়ি ‘ঐরাবত’ মেলায় সাফল্য মিলবে বলেই বন দফতরের আশা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy