চিকিৎসাধীন প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের তিন চিকিৎসক ও এক নার্সের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, মৃতার স্বামীর এফআইআর-এর ভিত্তিতে চিকিৎসক অপূর্ব দাস, দেবার্ঘ্য মণ্ডল ও শুভঙ্কর গায়েন এবং নার্স লতা ভাণ্ডারীর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু ঘটানোর জামিনযোগ্য ধারায় (৩০৪এ) মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে মামলা রুজু হলে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিতে হয়। এ ক্ষেত্রেও নথিগুলি বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়ে মতামত নেওয়া হবে।
গত ২৮ অগস্ট রাতে পেটে ব্যথা নিয়ে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন মণিমালা ভট্টাচার্য নামে এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অপূর্ব দাস ওই মহিলাকে ফিমেল মেডিক্যাল ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেন। সেখানে মাত্র এক বার দেখে চলে যান মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ দেবার্ঘ্য মণ্ডল। রাতে অবস্থার অবনতি হলে মণিমালাদেবীকে সিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসক শুভঙ্কর গায়েনও অমানবিক আচরণ করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, কার্যত বিনা চিকিৎসায় ২৯ অগস্ট সকালে মৃত্যু হয় মণিমালাদেবীর। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা মণিমালাদেবীর গর্ভস্থ ভ্রূণটি জরায়ুর পরিবর্তে ডিম্বনালীতে বেড়ে উঠেছিল। ডিম্বনালী ফেটে গিয়ে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের জন্য তাঁর মৃত্যু হয়। অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সত্ত্বেও কোনও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ মণিমালাদেবীকে দেখেননি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরে মণিমালাদেবীর স্বামী অশোক ভট্টাচার্য শুক্রবার ঝাড়গ্রাম থানায় অভিযুক্ত তিন চিকিৎসক ও এক নার্স-সহ চার জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy