E-Paper

আধারের তথ্য হাতিয়ে প্রতারণার অভিযোগ  

চঞ্চল জানাচ্ছেন, কয়েকদিন আগে মেদিনীপুরে কালেক্টরেট চত্বরে থাকা রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তখন আঙুলের ছাপ দিতে হয়েছিল তাঁকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:৫৫
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বিভিন্ন পদ্ধতিতে প্রতারণা প্রতি দিন বাড়ছে অনলাইনে। সম্প্রতি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ নকল করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনা সামনে আসছে বিভিন্ন এলাকায়। এবার আধারের তথ্য হাতিয়ে প্রতারণার অভিযোগ পশ্চিম মেদিনীপুরেও।

মেদিনীপুর গ্রামীণের কনকাবতীর বাসিন্দা চঞ্চল বারিক নামে এক ব্যক্তির অভিযোগ, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর ১০ হাজার ও ১৭ সেপ্টেম্বর ৮,৪০০ টাকা তোলা হয়েছে। পুলিশের কাছে ও সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।

চঞ্চল জানাচ্ছেন, কয়েকদিন আগে মেদিনীপুরে কালেক্টরেট চত্বরে থাকা রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তখন আঙুলের ছাপ দিতে হয়েছিল তাঁকে। তাঁর কথায়, ‘‘জমিজমা সংক্রান্ত হস্তান্তরের সাক্ষী হিসেবে গিয়েছিলাম রেজিস্ট্রি অফিসে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চঞ্চলের অভিযোগ, ‘‘দু’দফায় ১৮,৪০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। রবিবার একটা মেসেজ পাই। বুঝতে পারি, আমার অ্যাকাউন্ট থেকে ৮,৪০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষনিক খোঁজখবর করি। ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করি। ব্যাঙ্ক থেকে জানানো হয়, আধার লিঙ্কের মাধ্যমে টাকাটা কাটা হয়েছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমার এটিএম নেই। আধার ব্যবহার করে কখনও দশ টাকাও তুলিনি। টাকাটা কী ভাবে কাটা হল, জানতে চেয়েছিলাম ব্যাঙ্কের কাছে। ব্যাঙ্ক জানতে চেয়েছিল, ইদানীং আমি বায়োমেট্রিক দিয়ে কোনও কাজকর্ম করেছি কি না। আমি জানিয়েছি, মেদিনীপুরে রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়েছিলাম। জমিজমার কাজে।’’ তিনি জানিয়েছেন, এর আগে তিনি যতবারই টাকা তুলেছেন, চেকে তুলেছেন। বায়োমেট্রিকে কখনও টাকা তোলেননি। যদিও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের অনুমান, এ ক্ষেত্রে আধারের বায়োমেট্রিক তথ্য (এ ক্ষেত্রে মূলত আঙুলের ছাপ) হাতিয়েই প্রতারণা হয়েছে।

নারায়ণগড় ব্লকের বাখরাবাদ এলাকার দীপঙ্কর রানার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেও দু’দফায় টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তি বুধবার বেলদা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি, দু’দফায় তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ হাজার টাকা গায়েব হয়েছে। ওই ব্যক্তি জানান, ১৮ সেপ্টেম্বর ব্যাঙ্কের পাশবই আপডেট করতে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারেন তিনি। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানিয়েছেন, আধার নম্বর ও আঙুলের ছাপ ব্যবহার করেই টাকা তোলা হয়েছে। দীপঙ্কর অবশ্য বলছেন, "গত ৬ মাসে রেশন তোলা ছাড়া অন্য কোথাও আঙুলের ছাপ দিয়ে কোনও কাজ করিনি। টাকা তোলা তো দূরের কথা। ব্যাঙ্কে টাকা রাখার পরেও নিরাপত্তা কোথায়!"

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

midnapore

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy