Advertisement
০৭ মে ২০২৪

নির্মাণে বাধার নালিশ, প্রহৃত তৃণমূল নেত্রী

সড়কের ধারে পূর্ত দফতরের জমি দখল করে পাকা নির্মাণের কাজে বাধা দেওয়ায় এগরা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সালেহা বিবিকে আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একদল বাসিন্দার বিরুদ্ধে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:৩৯
Share: Save:

সড়কের ধারে পূর্ত দফতরের জমি দখল করে পাকা নির্মাণের কাজে বাধা দেওয়ায় এগরা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সালেহা বিবিকে আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একদল বাসিন্দার বিরুদ্ধে। গত ১২ ডিসেম্বর রাতের ঘটনা। গুরুতর জখম ওই কাউন্সিলরকে প্রথমে এগরা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কলকাতার বাঙুর হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে। সালেহা বিবির বৌমা জৈনপারা বিবি এ বিষয়ে শুক্রবার মালেক মল্লিক, খালেক মল্লিক-সহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে এগরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এগরা শহরের ৮ নম্বরের পুরুষোত্তমপুর এলাকায় কাঁথি-বেলদা সড়কের ধারে পূর্ত দফতরের জায়গা দখল করে পাকা বাড়ি তৈরি করার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় বাসিন্দা মালেক মল্লিকের বিরুদ্ধে। জানতে পেরে পূর্ত দফতরের কাঁথি বিভাগের সহকারী বাস্তুকার ওই নির্মাণের কাজ বন্ধের জন্য এগরা পুরসভাকে চিঠি দেন। স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সালেহা বিবি নির্মাণস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ রাখার কথা বলেন। কিন্তু কাউন্সিলরের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই নির্মাণ কাজ চলছিল বলে অভিযোগ। কাউন্সিলর এ নিয়ে পুরপ্রধানকে অভিযোগ জানাবে বলে ফিরে আসেন।

সালেহা বিবির বৌমা জৈনপারা বিবির অভিযোগ, ‘‘ওই দিন রাত ৯টা নাগাদ এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে সাত-আটজন শাশুড়ি মায়ের উপর চড়াও হয়। মালেক প্রথমে একটি বন্দুক নিয়ে শাশুড়ির মাথায় ঠেকিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর একটি লোহার রড দিয়ে শাশুড়ির মাথার কাছে ঘাড়ে আঘাত করে।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, শাশুড়িকে আক্রমণের সময় বাধা দিতে গেলে আমাকেও মারধর এবং শ্লীলতাহানি করা হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Complaint TMC Building
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE