কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া প্রায় এক মাস ধরে বাণিজ্যিক ভাবে মেলা চলেছে কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের মাঠে। অন্তত তেমনই দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে লিখিত অভিযোগ পাঠানো হয়েছে। সেই অভিযোগপত্রের ছবি (যার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার পত্রিকা) সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
গত বছর প্রভাত কুমার কলেজের মাঠে ‘বৈশাখী মেলার’ আয়োজন করতে চেয়েছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একাংশ। প্রথমে মেলার অনুমতি দেওয়া হলেও পরে তা বাতিল করে দেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে হাই কোর্টে মামলা করেছিল আয়োজকদের একাংশ। হাই কোর্ট যে শর্ত বেঁধে দিয়েছিল, তাতে পরিসর ছোট হয়ে যাওয়ায় মেলা করতে শেষ পর্যন্ত রাজি হননি আয়োজকেরা। এ বছর অবশ্য গত ৭ মে থেকে প্রভাত কুমার কলেজের মাঠের একটা বড় অংশ জুড়ে ফের ‘বৈশাখী মেলা’ বসেছে। প্রভাত কুমার কলেজ কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, প্রয়োজনীয় জমি ব্যবহারের অনুমতি নেননি আয়োজকরা। সঙ্গত কারণে দমকল, পুলিশ এবং মহকুমাশাসকেরও অনুমতি মেলেনি।
এ বিষয়ে প্রভাত কুমার কলেজের অধ্যক্ষ অমিত কুমার দে বলেন, ‘‘নিয়ম অনুযায়ী কলেজের সম্পত্তি ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারেন অধ্যক্ষ বা সম্পাদক। কিন্তু, সেই মেলার জন্যে কলেজের মাঠ ব্যবহারের অনুমতি কাউকেই দিইনি।’’ বিষয়টি অজানা বলে দাবি করেন কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরিও। তিনি বলেন, ‘‘অনুমতি নিতে চেয়ে কেউ আবেদনই করেননি।’’ এ বিষয়ে কলেজের প্রাক্তন পড়ুয়াদের একাংশ গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। যদিও এ বিষয়ে তাঁদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
অনুমতি ছাড়া কীভাবে কলেজের মাঠ দখল করে দিনের পর দিন মেলা চলছে, তা নিয়ে সরব বিজেপিও। দক্ষিণ কাঁথির বিজেপি বিধায়ক অরূপ কুমার দাস বলেন, ‘‘কলেজের অধ্যক্ষ জানেন না। পরিচালন কমিটির সভাপতি বলছেন অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাহলে এক মাস ধরে কলেজের সম্পত্তি ব্যবহার করে কী করে মেলা চলছে? পুরসভা বা কলেজ কেন পদক্ষেপ করছে না? আসলে শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেনহয়ে গিয়েছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)