প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনর ফর্ম জমা ঘিরে বিভ্রান্তির অভিযোগ উঠল। চাষিদের অভিযোগ, প্রথমে ঠিক ছিল ফসল বিমা যোজনার ফর্ম পূরণ ও জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ জুলাই। পরে সেই সময়সীমা বাড়ে আগামী ১৫ অগস্ট পর্যন্ত। কিন্তু সেখানেও সমস্যা। আগামী ১৩ ও ১৪ অগস্ট যথাক্রমে শনি ও রবিবার। ফলে সরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। আর ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবস। ফলে ফর্ম জমার শেষ সীমা দাঁড়াল ১১ তারিখ।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে ১ লক্ষ ১৮ হাজার অঋণী কৃষকদের জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ ২২ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। এ বার কৃষকের সংখ্যা বাড়ানো হলেও সেই সংখ্যাটা কত সে বিষয়ে উল্লেখ করা হয়নি বলে অভিযোগ। শুধু প্রচার করা হয়েছে ঋণী, অঋণী কৃষক মিলিয়ে ৫ লক্ষ বিমা করানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। বিমার ক্ষেত্রে কৃষকদের প্রাপ্তিপত্র নিয়েও বিভ্রান্তি। ন্যাশনাল ইন্সিওরেন্স কৃষকদের বিমার দায়িত্বে থাকলেও কৃষকরা বিমার প্রাপ্তিপত্র না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন।
তবে বিভ্রান্তির কথা মানতে চাননি পূর্ব মেদিনীপুরের কৃষি দফতরের উপ অধিকর্তা সুশান্ত মহাপাত্র। সুশান্তবাবু জানিয়েছেন, ছুটির দিন পড়ে গেলে শেষ কাজের দিনকেই ফর্ম পূরণ ও জমা দেওয়ার শেষ তারিখ বলে ধরে নিতে হবে। অঋণ কৃষকদের ক্ষতিপূরণের কথা পৃথক করে বলা না থাকলেও ঋণ, অঋণ সকলকেই এই বিমার আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘প্রাপ্তিপত্র না পাওয়ার অভিযোগটি শুনেছি। নাম নথিভুক্ত হওয়ার পর বিমা কোম্পানি প্রাপ্তিপত্র দেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy