Advertisement
২১ মে ২০২৪
Coronavirus

ইন্দোনেশিয়া থেকে ফিরে করোনা-নজরে

ভগবানপুর-১ ব্লক স্বাস্থ্য দফতর মারফত ওই খবর গিয়ে পৌঁছয় ভগবানপুরের ব্লক আধিকারিকদের কাছে।

ছবি: এএফপি।

ছবি: এএফপি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ভগবানপুর শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২০ ০০:৪৬
Share: Save:

সপ্তাহ খানেক আগে ইন্দোনেশিয়া থেকে বেড়িয়ে ভগবানপুরের বাড়িতে ফিরেছিলেন। তার পরেই জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হন মাঝবয়সী ব্যক্তিটি। করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই ওই ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে গেল ব্লক স্বাস্থ্য দফতর ও পুলিশ-প্রশাসনের দল।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভগবানপুর-১ ব্লকের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি পেশায় ইমারতি সামগ্রীর ব্যবসায়ী। ব্যবসায়িক লেনদেনের সূত্রে একটি সংস্থার তরফে তিনি গত মাসে ইন্দোনেশিয়া বেড়াতে যান। পাঁচ-ছ’দিন আগে ওই ব্যক্তি ইন্দোনেশিয়া থেকে ভগবানপুরের বাড়িতে ফেরেন। এর পরেই গত দু’তিন তিনি জ্বর-সর্দি-কাশিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রাথমিক ভাবে ওই ব্যক্তি স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য যায়। জ্বর ভাল না হওয়ায় স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁর গত কয়েকদিনের যাতায়াতের সম্পর্কে জানতে চান। তখন ওই ব্যক্তি ইন্দোনেশিয়া-যাত্রার কথা জানান। তা শুনে স্বাস্থ্য কর্মীরা ওই ব্যক্তিকে কলকাতার গিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন।

ভগবানপুর-১ ব্লক স্বাস্থ্য দফতর মারফত ওই খবর গিয়ে পৌঁছয় ভগবানপুরের ব্লক আধিকারিকদের কাছে। এর পরেই বৃহস্পতিবার ভগবানপুর ব্লক আধিকারিক, ভগবানপুর থানার পুলিশ এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে যান। তাঁরা অসুস্থ ওই ব্যক্তিকে কলকাতায় নিয়ে যেতে চান। কিন্তু প্রথমে তিনি গাড়িতে উঠতে অস্বীকার করেন। পরে একরকম জোর করেই তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে কলকাতায় রওনা হন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

ভগবানপুর-১ এর বিডিও পঙ্কজ কোনার বলেন, ‘‘আমরা স্বাস্থ্য দফতর মারফত খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ওই ব্যক্তিকে পুলিশের সহযোগিতায় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি প্রথমে যেতে চাইছিলেন না। পরে বুঝিয়ে তাঁকে পাঠানো হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Indonesia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE