Advertisement
E-Paper

হাসপাতালে সিআরপি জওয়ান

ওই জওয়ানের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পরে প্রয়োজন হলে তাঁর মুখগহ্বর থেকে লালারস সংগ্রহ করে কলকাতার পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২০ ০০:১৫
Treatment for Corona Viurus

Treatment for Corona Viurus

জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক সিআরপি জওয়ানকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, করোনাভাইরাস নিয়ে আগাম সতর্কতা হিসেবেই এমন পদক্ষেপ। যদিও ঝাড়গ্রাম জেলার সিএমওএইচ প্রকাশ মৃধা বলেন, ‘‘আমরা ওই রোগীকে সাসপেক্ট মনে করছি না। তবে বৃহত্তর স্বার্থে ওই রোগীকে পৃথক ভাবে রাখা হয়েছে।’’

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলায় সিআরপি-র একটি হেডকোয়ার্টারের ওই জওয়ান কর্মসূত্রে জম্মু-কাশ্মীরে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি কাশ্মীর থেকে দিল্লি হয়ে ঝাড়গ্রামের হেড কোয়ার্টারে নিজের ব্যাটালিয়নে ফিরে আসেন। কিন্তু ওই জওয়ানের সর্দি-কাশি-জ্বর হয়েছিল। শ্বাসকষ্টের উপসর্গও দেখা দেয়। এই কারণে বুধবার গভীর রাতে সিআরপি কর্তৃপক্ষের তরফে ওই জওয়ানকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রথমে পুরুষ মেডিক্যাল ওয়ার্ডে ওই জওয়ানকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার চিকিৎসকরা উপসর্গ দেখে ঝুঁকি নিতে চাননি। বিষয়টি জানানো হয় জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে। বৃহস্পতিবার রাতে ওই জওয়ানকে পৃথক আইসোলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত হয়। হাসপাতালের পাঁচতলায় ঘরে ওই জওয়ানকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই জওয়ানের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পরে প্রয়োজন হলে তাঁর মুখগহ্বর থেকে লালারস সংগ্রহ করে কলকাতার পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। সিএমওএইচের আবেদন, ‘‘গুজব-বিভ্রান্তি কেউ ছড়াবেন না।’’ একই সঙ্গে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, ‘‘সর্দি-জ্বর-শ্বাসকষ্টের রোগী এলেই আমরা কিন্তু পৃথক ভাবে রেখেই চিকিৎসা করব।’’

করোনা-র হানা ঠেকাতে রাজ্যের ১৩টি জেলায় আন্ত রাজ্য সীমানার ৭৮টি জায়গায় নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য প্রশাসন। এর মধ্যে ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সীমানা লাগোয়া ঝাড়গ্রাম জেলার ৮টি জায়গায় নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভিন রাজ্য থেকে জ্বর সর্দি নিয়ে কেউ এলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে পৃথকভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলে সিএমওএইচ জানিয়েছেন।

ঝাড়গ্রামের বাজারে মাস্ক ও স্যানিটাইজার পাওয়া যাচ্ছে না। বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের ঝাড়গ্রাম শাখার সহ-সভাপতি প্রফুল্ল দে বলেন, ‘‘মাস্ক ও স্যানিটাইজারের চাহিদা এখন। অথচ জোগান প্রায় নেই। ’’ এক ওষুধ ব্যবসায়ী জানালেন, মঙ্গলবার এক ঘন্টার মধ্যে দেড়শোটি মাস্ক বিক্রি

হয়ে গিয়েছে।

CRPF Medinipur Corona Virus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy