Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বিকড়ায় মেডিক্যাল টিম, আসবেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ 

মাইশোরা এলাকার ওই গ্রামে গত ছ’মাস ধরে চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন বাসিন্দা। এ দিন ওই বিকড়া গ্রামে যান সাত সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৯ ০০:২০
Share: Save:

চর্মরোগে গত কয়েক মাস ধরে আক্রান্ত হচ্ছিলেন অধিকাংশ গ্রামবাসী। চিকিৎসা করিয়েও সুফল মেলেনি বলে অভিযোগ ছিল তাঁদের। সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশ পাওয়ার পরেই মঙ্গলবার পাঁশকুড়ার বিকড়া গ্রামে গেলেন ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এনে আক্রান্তদের চিকিৎসা করানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন তাঁরা।

মাইশোরা এলাকার ওই গ্রামে গত ছ’মাস ধরে চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন বাসিন্দা। এ দিন ওই বিকড়া গ্রামে যান সাত সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম। প্রতিনিধি দলে ছিলেন পাতন্দা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার মহম্মদ আমিন-সহ অন্যরা। তাঁরা আক্রান্ত গ্রামদের রোগের নমুনা সংগ্রহ করেন।

স্থানীয় সূত্রের খবর, জেলার উত্তর দিকের শেষ প্রান্তে অবস্থিত তফসিলি জাতি অধ্যুষিত ওই গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দাই কৃষিজীবী। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রথমে তাঁদের শরীরের কোনও জায়গায় ঘামাচির দানা তৈরি হয়, তার পরে তা ছড়িয়ে পড়তে থাকে শরীরের অন্য অংশে। প্রচণ্ড চুলকুনি ও জ্বালা অংশ আক্রান্ত অংশে। শিশু থেকে বৃদ্ধ, এই রোগের সংক্রমণ থেকে কেউই রেহাই পায়নি বলে দাবি। স্থানীয়দের দাবি, পাতন্দা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে অনেকেই ওষুধ এনে খাচ্ছেন। কিন্তু তাতেও সারছে না রোগ। অনেকে আবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখিয়ে ওষুধ খাচ্ছেন। কিন্তু অভিযোগ, ওষুধ খাওয়া বন্ধ করলেই রোগ ফিরে আসছে।

এ দিন চিকিৎসকদের দলের সদস্যদের সামনে পেয়ে ক্ষোভ চেপে রাখেননি গ্রামবাসী। স্থানীয় বাসিন্দা হরিপদ খান বলেন, ‘‘এই ব্লকে কোনও সরকারি হাসপাতালে একজনও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ নেই। এলাকাটি কৃষি প্রধান নিম্ন-মধ্যবিত্ত অধ্যুষিত। দূরে গিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানোর মতো আর্থিক সামর্থ্যও অধিকাংশের নেই। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে আমরা। তা সত্ত্বেও আমরা ন্যূনতম পরিষেবা কেন পাব না?’’

স্থানীয়দের অভিযোগ প্রসঙ্গে পাঁশকুড়া ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মণিকুন্তলা হাজরা বলেন, ‘‘আমাদের ব্লকে কোনও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ নেই। এটা ঠিক। বুধবার পাতন্দা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এনে আক্রান্তদের চিকিৎসা করানো হবে। এটা যেহেতু দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা, তাই এক-দেড় মাস অন্তর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এনে আক্রান্তদের পরিষেবা দেওয়া হবে।’’

ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

ভগবানপুর: বাড়িতে উদ্ধার হল এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ। মৃত দিপালী দাসের (২৬) বাড়ি ভগবানপুর থানার কাঁকরা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক অশান্তির কারণে ওই তরুণী সোমবার রাতে বাড়িতে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। দেহ উদ্ধার করে মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Skin Disease Dermatologist
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE