Advertisement
E-Paper

দীনেনই কি চেয়ারম্যান!

বিবদমান সব গোষ্ঠীকে নিয়েই তৃণমূলের নতুন জেলা সভাপতি হিসাবে প্রথম বৈঠকটি সারলেন অজিত মাইতি। তবে একটি কাঁটাও থেকে গেল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৬ ০৫:৪৩

বিবদমান সব গোষ্ঠীকে নিয়েই তৃণমূলের নতুন জেলা সভাপতি হিসাবে প্রথম বৈঠকটি সারলেন অজিত মাইতি। তবে একটি কাঁটাও থেকে গেল।

রবিবার মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর হলে ওই বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি দীনেন রায়কে দলের চেয়ারম্যান হিসাবে সম্বোধন করেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র করা। তা নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে দলের অন্দরে। এখনও জেলা কমিটি তৈরি হয়নি। চেয়ারম্যান কে হবেন সেই সিদ্ধান্তও হয়নি বলে একাংশ নেতৃত্বের দাবি। প্রাক্তন জেলা চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতি বলেন, “নেত্রী বা দলের কেউ এখনও চেয়ারম্যান হিসাবে কারও নাম ঘোষণা করেননি। উনি (সৌমেনবাবু) যা বলেছেন, তা ঠিক নয়।’’ দলের আরও কিছু নেতার বক্তব্য, “কলকাতায় কর্মশালার মঞ্চ থেকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন একজনকে চেয়ারম্যান করার জন্য। রাজ্য থেকে চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা হয়নি। তা সত্ত্বেও সৌমেনবাবু কী করে এটা বললেন, বুঝতে পারছি না। এতে জটিলতা বাড়ল।’’

যদিও সৌমেনবাবু বলছেন, “কলকাতার কর্মশালায় আমাদের সর্বোচ্চ নেত্রীর ঘোষণায় যা শুনেছি, সেটাই বলেছি। দীনেন রায়কেই চেয়ারম্যান করতে বলেছেন নেত্রী। আমি সেটা বলেছি মাত্র।’’ একই সুরে দীনেনবাবুরও বক্তব্য, “বিগত পাঁচ বছর সভাপতি পদে থেকে দলের অনুগত হিসাবে কাজ করেছি। তাই আমাকেই চেয়ারম্যান করার কথা ঠিক হয়েছে। সৌমেনবাবু প্রকাশ্যে বলেও গিয়েছেন।’’ তবে এ ব্যাপারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিতবাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

এ দিনের বৈঠকে জেলা সভাপতি জানিয়ে দেন, ২১ জুলাইয়ের সভার সমর্থনে প্রতিটি পাড়া, বুথ থেকে জেলা জুড়ে মিছিল করতে হবে। জেলা থেকে রেকর্ড সংখ্যক মানুষকে সভায় নিয়ে যেতে হবে। তারই প্রস্ততি সভায় ১২ জুলাই জেলায় আসবেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতিতে জায়গায় নির্বাচিত সদস্যদের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হচ্ছে। জেলা সভাপতির সাফ কথা, ‘‘কোনও নির্বাচিত সদস্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা যাবে না। যদি কারও বিরুদ্ধে আস্থা না থাকে, তাহলে কেন আস্থা নেই, তা লিখিতভাবে জেলা কমিটির মাধ্যমে রাজ্য কমিটির কাছে পাঠাতে হবে। সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য কমিটি।’’ সংগঠনের ক্ষেত্রেও এক নিয়ম। দলের মূল সংগঠন থেকে শাখা সংগঠন, কোথাও কোনও সদস্যকে বহিষ্কার করা যাবে না। কারও বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকলে আলোচনার মাধ্যমে মেটানোর চেষ্টা করতে হবে। না মেটানো গেলে পদ্ধতি মেনে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠাতে হবে। অজিতবাবুর সাফ কথা, “দলে গোষ্ঠী চলবে না।”

dinen roy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy