Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মেডিক্যালের শিবিরে আশা, রক্তদানে চিকিৎসকেরা

শিবির সে ভাবে হচ্ছে না। গরম পড়তেই তাই দেখা দিচ্ছে রক্তের আকাল। সঙ্কট মেটাতে এগিয়ে এলেন চিকিত্সকেরা। শিবিরে রক্ত দিলেন তাঁরা।

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের রক্তদান। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের রক্তদান। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৮ ০১:৫৬
Share: Save:

শিবির সে ভাবে হচ্ছে না। গরম পড়তেই তাই দেখা দিচ্ছে রক্তের আকাল। সঙ্কট মেটাতে এগিয়ে এলেন চিকিত্সকেরা। শিবিরে রক্ত দিলেন তাঁরা।

মঙ্গলবার মেদি নীপুর মেডিক্যালে এই রক্তদান শিবির হয়। উদ্বোধন করেন মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা প্রমুখ। মোট ৮০ জন এই শিবিরে রক্ত দিয়েছেন। তার মধ্যে ৪০ জনই মহিলা। মেদিনীপুর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চাননবাবু বলেন, “শিবির নিয়ে সকলকে খুব উত্সাহিত দেখলাম। ভাল লাগল। সকলেরই উচিত, এমন শিবিরের ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়া।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্রবাবুরও বক্তব্য, “সকলেরই উচিত রক্তদানে অন্যদের উদ্বুদ্ধ করা।’’

মেদিনীপুর মেডিক্যালের ছাত্র সংসদ এবং মেডিক্যালের প্রাক্তনী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এই শিবিরের নাম দেওয়া হয়েছিল, ‘ড্রপস্ অফ হোপ।’ প্রাক্তনী সংগঠনের পক্ষে কালিমুজ্জামান মোল্লা এবং ছাত্র সংসদের পক্ষে শুভজিৎ সুরাল বলেন, “চিকিত্সার জন্য রক্তের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এই উদ্যোগ।’’ গত বছরও রক্তের সঙ্কটের সময় মেডিক্যালে এমন শিবির হয়েছিল। জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, “মেডিক্যাল কলেজের অনেক ছাত্রছাত্রী শিবিরে রক্ত দিয়েছেন। রক্তদানে কারও কারও ভয় থাকে। বিশেষ করে কমবয়সীদের মধ্যে। সচেতনতার অভাবেই এই ভয়টা থাকে। কলেজে এসে অবশ্য ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কোনও ভয় দেখিনি। সচেতনতা এখন অনেক বেড়েছে।’’

গরম পড়তে না পড়তেই রক্তের সঙ্কট শুরু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। জেলায় তিনটি ব্লাড ব্যাঙ্ক রয়েছে। সব থেকে বড় ব্লাড ব্যাঙ্ক রয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালগুলোয় বিভিন্ন কারণে রক্তের প্রয়োজন হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ বার স্বাস্থ্যকেন্দ্র- হাসপাতালে রক্তদান শিবির করার নির্দেশ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশে জানানো হয়েছে, মাসে অন্তত একটি শিবির করতে হবে। সেই মতো ব্লকে ব্লকে শিবিরের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা মনে করছেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্র-হাসপাতালে মাসপিছু একটি শিবির হলে সমস্যার অনেকটাই সুরাহা হবে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্রবাবু বলেন, “শিবিরের সংখ্যা বাড়ানোর সব রকম চেষ্টা চলছে। হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রক্তদান শিবির হবে। এতে রক্তের সঙ্কট অনেকটাই মিটবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

blood Blood Donation doctors
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE