প্রতীকী ছবি।
সৈকত শহর দিঘার সৌন্দর্যায়নের উপরে জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সৌন্দর্যায়নের দিকটি মাথায় রেখে এবার দিঘা শহরের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে আমূলে বদলে ফেলার কাজ শুরু হল। মহানগর কলকাতার ধাঁচে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইন পাতার কাজ শুরু হয়েছে দিঘায়। মাটির তলা দিয়ে বিদ্যুৎ লাইনের কেবল তার পেতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে বিদ্যুৎ দফতরের। রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের উদ্যোগে প্রায় ১০০ কোটি টাকা খরচে ওই প্রকল্প গড়া হচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, উপকূলবর্তী হওয়ায় বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং ঝোড়ো হাওয়ায় দিঘায় হামেশাই বিদ্যুতের তার ছিড়ে যায়। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ যেমন বিঘ্নিত হয়, তেমনই দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকে। মূলত ওসব সমস্যার বিষয়গুলি মাথায় রেখে এবং সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যে মাটির তলায় বিদ্যুতের লাইন পাতার পরিকল্পনা নিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর।
বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, ভূগর্ভস্থ তার থাকলে রাস্তার উপরে বিদ্যুতের তারের জাল আর থাকবে না। ফলে সৌন্দর্যায়ন হবে। আর প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিদ্যুতের তার ছিড়ে যাওয়ারও সম্ভবনা কমবে। এতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকবে। আর হুকিং করে বিদ্যুৎ চুরিও ঠেকানো যাবে। আধিকারিকদের মতো, এই ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা গড়তে প্রাথমিকভাবে খরচ একটু বেশি হলেও শহরগুলির বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নতি হবে।
বিদ্যুৎ দফতর সূত্রের খবর, বিশ্ব ব্যাঙ্কের কাছ থেকে পাওয়া টাকায় দিঘা শহরের সর্বত্র ‘আন্ডার গ্রাউন্ড কেবল’ বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ার কাজ করছে নামী একটি সংস্থা। দিঘা শহর ছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সদর তমলুক এবং শিল্প শহর হলদিয়ায় ‘আন্ডার গ্রাউন্ড কেবলে’র মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার পরিকল্পনা নিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। প্রথম পর্যায়ে দিঘায় কাজ হলেও দ্বিতীয় পর্যায়ে (২০১৯-২০২০ আর্থিক বছরে) তমলুক শহরে ওই প্রকল্পের কাজ হবে। তবে সে জন্য রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর অর্থ বরাদ্দ করবে। তার পরে হলদিয়ার কাজ হবে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরের রিজিওনাল ম্যানেজার শ্যামলকুমার হাজার বলেন, ‘‘সৌন্দর্যায়ন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ এড়িয়ে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যেই দিঘা, তমলুক এবং হলদিয়া শহরে আন্ডার গ্রাউন্ড কেবল বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়তে উদ্যোগী হয়েছি। প্রথম পর্যায়ে দিঘায় কাজ শুরু হয়েছে। এ জন্য বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে আর্থিক সাহায্য পাওয়া গিয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে তমলুক এবং তৃতীয় পর্যায়ে হলদিয়ায় কাজ হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy