প্রতীকী চিত্র
স্কুলে ঢুকে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখাল ডেবরার রাধামোহনপুর বিবেকানন্দ হাইস্কুলের পড়ুয়ারা। বাবা এবং ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এ দিন রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশের দাবি, অভিযুক্তেরা পলাতক। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার দুপুরে। স্কুলে তখন তৃতীয় পিরিয়ডের ক্লাস চলছিল। কিন্তু সে সময় ক্লাস না থাকায় একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়াদের একাংশ কমন রুমেই বসেছিল।সে সময় স্কুলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল সাহা এবং তাঁর ছেলে মলয়। অভিযোগ, বাবা এবং ছেলের উদ্দেশে কটূক্তি করে কয়েকজন ছাত্র। অভিযোগ, এরপরই বাবা-ছেলে ঢুকে পড়েন স্কুলে।
কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা না বলেই তাঁরা সটান উঠে যান দোতলার কমনরুমে। অভিযোগ, একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে কলার ধরে নীচে নামিয়ে এনে চলে মারধর। এই দৃশ্য দেখে ক্লাস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন শিক্ষক ও পড়ুয়ারা। সকলে মিলে বাধা দিলেও মারধরে বিরত হননি বাবা-ছেলে। ঘটনায় আহত হন ওই একাদশ শ্রেণির ছাত্র। পরে অবশ্য শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় গোলমাল থামে। স্কুলের পাশেই বাড়ি গোপালবাবুর। বা়ড়িতেই নুডলস তৈরির কারখানা রয়েছে তাঁদের।
বুধবারের ঘটনা সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ বেরা বলেন, “আমরা জানতে পেরেই এসে পরিস্থিতি সামলেছি। পরে থানায় বহিরাগত দু’জনের নামে অভিযোগও করেছি।’’ বাড়িতে না থাকায় এ দিন অবশ্য বাবা কিংবা ছেলে কারও সঙ্গেই কথা বলা যায়নি। প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে কেন বহিরাগতের হাতে হেনস্থা হতে হবে—এই প্রশ্ন তুলে এ দিন স্কুল শুরুর আগেই বিক্ষোভ দেখায় দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা।
পৌঁছন অভিভাবকেরাও।
স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র কর্ম মান্ডি, সৌগত মাজির কথায়, “স্কুলের প্রধান শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও তাঁর অনুমতি ছাড়া যদি এ ভাবে বহিরাগত ঢুকে আমাদের উপর হামলা করে তবে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়?’’ পড়ুয়াদের বিক্ষোভে এ দিন স্কুলে ক্লাস হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy