Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

কাজ দেখতে আজ পশ্চিমে বনমন্ত্রী

বন দফতরের মেদিনীপুর ডিভিশনের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা জানান, জেলার মধ্যে এটিই সবচেয়ে ভাল নার্সারি। দু’একর জায়গায় গড়ে ওঠা এই নার্সারিতে প্রায় ৫ লক্ষ গাছের চারা তৈরি করা হয়।

নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:১৩
Share: Save:

বন দফতরের কাজ পর্যালোচনা করতে আজ, শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় আসছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। এ দিন বিকেলে মেদিনীপুর শহরের সুকুমার সেনগুপ্ত পার্কে পুষ্পমেলার উদ্বোধন করবেন তিনি।

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বন বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ সঠিক ভাবে হচ্ছে কি না, কোথায় ঘাটতি রয়েছে সে বিষয়ে তদারকির জন্যই জেলায় বনমন্ত্রী আসছেন। আজ, শনিবার সকালে মেদিনীপুর ডিভিশনের ‘গোপগড় সেন্ট্রাল নার্সারি’-তে যাবেন বিনয়কৃষ্ণূবাবু। সঠিক নিয়ম মেনে নার্সারিতে চারাগাছ তৈরি হচ্ছে কি না, চারাগাছের গুণগত মান সঠিক আছে কি না তা খতিয়ে দেখবেন মন্ত্রী।

বন দফতরের মেদিনীপুর ডিভিশনের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা জানান, জেলার মধ্যে এটিই সবচেয়ে ভাল নার্সারি। দু’একর জায়গায় গড়ে ওঠা এই নার্সারিতে প্রায় ৫ লক্ষ গাছের চারা তৈরি করা হয়। এর মধ্যে ১ লক্ষ ৭০ হাজার শাল গাছের চারা। শাল গাছের পাশাপাশি পলাশ, মহুল, পিয়াল, হরিতকি গাছের চারাও তৈরি হচ্ছে। এখানে নিয়ম মেনেই চারা তৈরি করা হয়, চারা গাছে জৈব সার ব্যবহার করা হয়। বাছাই করা সতেজ, পুষ্ঠ চারাগাছই নার্সারিতে জায়গা পায়। ‘রুট ট্রেনার স্ট্যান্ড’-এ চারাগাছগুলি রাখা থাকে। জলের মাত্রা সঠিক রাখার জন্য ‘ওভারহেড মিস্টিং সিস্টেম’ ব্যবহার করা হয়। রবীন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘আমরা ঠিক মতো কাজ করছি কি না খতিয়ে দেখতেই দপ্তরের মন্ত্রী জেলায় আসছেন।’’

আজ, দুপুরে শালবনির ভাদুতলায় একটি অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী। ‘জাইকা’-র আর্থিক সহায়তায় ‘বনরক্ষা কমিটি’-র মাধ্যমে গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ২ শতাংশ সুদের হারে ঋণ দিচ্ছে বন দফতর। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি সেই টাকা নিয়ে কাপড়ের দোকান, ভূষিমাল দোকান, তামার গয়না তৈরি, বড়ি তৈরি, ছাতু তৈরি, মুড়ি ভাজা, ফুচকার স্টল দেওয়া-সহ নানা রকমের কাজ করে মাসের শেষে বনরক্ষা কমিটির কাছে টাকা ফেরত দেয় তাঁরা। এই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে চলছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখবেন মন্ত্রী।

ভাদুতলায় ১৮টি স্টলে নিজেদের হাতে তৈরি বিভিন্ন দ্রব্য নিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি উপস্থিত থাকবে। মন্ত্রী স্বনির্ভর দলের উৎপাদিত দ্রব্য দেখবেন, তাঁদের সঙ্গে কথাও বলবেন। এই মঞ্চ থেকেই মন্ত্রী ১০টি বনরক্ষা কমিটির হাতে এক কোটি পাঁচ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেবেন মন্ত্রী। এ ছাড়াও শালপাতা তৈরির মেশিন, স্প্রে মেশিন, ধান ঝাড়াইয়ের মেশিন, সার্চ লাইট তুলে দেওয়া হবে গ্রামবাসীর হাতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE