নিকাশি নালায় জমে জল। কেশিয়াড়ির হাসিমপুরে। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।
মজে গিয়েছে নিকাশি নালা। আবর্জনাও পরিষ্কার হয় না সব জায়গায়। অনেক এলাকায় নিকাশি নালা কাঁচাই রয়ে গিয়েছে। এই ছবি কেশিয়াড়ির। বর্ষা থেকে শীত, সারাবছর নিকাশি সমস্যায় জেরবার এলাকার বাসিন্দারা।
আড়ে বহরে বেড়েছে খড়্গপুর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের কেশিয়াড়ি। পলিটেকনিক কলেজ, ডিগ্রি কলেজ রয়েছে কেশিয়াড়িতে। রয়েছে ব্লক প্রশাসনিক কার্যালয়, কৃষি দফতরের কার্যালয়, খাদ্য দফতর, ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রও। জনসংখ্যা বাড়লেও এলাকায় সে ভাবে উন্নয়ন হয়নি বলে অভিযোগ। কেশিয়াড়ির অনেক জায়গাতেই এখনও নিকাশি নালা পাকা হয়নি। কাঁচা নর্দমায় আবর্জনা জমে ছড়ায় দূষণ।
কেশিয়াড়ি মোড় থেকে থানা যাওয়ার রাস্তায় বাঁ দিকে মাঝে-মধ্যে নিকাশি নালা পাকা হয়েছে। যদিও নালায় প্রায়ই জল জমে থাকে বলে অভিযোগ। কেশিয়াড়ি থেকে খড়্গপুর যাওয়ার পথে পাকা নিকাশি নালা থাকলেও নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। ফলে মজে গিয়েছে নালা। অনেক জায়গায় নিকাশি নালা ভেঙে গেলেও মেরামতি করা হয় না বলে অভিযোগ। বর্ষায় অবস্থা আরও সঙ্গীন হয়। নালার জল উপচে বাড়িতে ঢুকে যায়।
কেশিয়াড়ির মির্জাপুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আশিসকুমার মিশ্রের অভিযোগ, ‘‘বাড়ির সামনে ব্লক অফিসের রাস্তায় নিকাশি নালা ছিল। কিন্তু রাস্তা হওয়ার সময়ে নালা ভেঙে যায়। তারপরে আর নতুন করে নর্দমা তৈরি হয়নি। বাড়ির আশেপাশে সারাবছর জল জমে থাকে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘কেশিয়াড়ি বাজারে বেলদা যাওয়ার রাস্তায় কোনও নর্দমা নেই। আর যেখানে নর্দমা রয়েছে সেগুলিও মশার আঁতুড় ঘর।’’ একইভাবে, কেশিয়াড়ির এলাসাই এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘খড়্গপুরে যাওয়ার রাস্তার ধারে আমাদের বাড়ি। রাস্তার ধারের নর্দমা আবর্জনায় অবরুদ্ধ। বর্ষা হোক বা শীত, সবসময় নালায় জল জমে থাকে। দূষণ সমস্যায় আমরা জেরবার।’’
নতুন নিকাশি নালা তৈরি দূর অস্ত, পুরনো নালা মেরামতি করতে গিয়েই হিমশিম খাচ্ছে পঞ্চায়েত সমিতি। সম্প্রতি কেশিয়াড়ি মোড় থেকে বেলদা যাওয়ার রাস্তার ধারে কয়েক মিটার নিকাশি নালা গড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আরও কয়েকটি নালা তৈরির সিদ্ধান্তও হয়েছে। কেশিয়াড়ির প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএম জোনাল কমিটির সম্পাদক বিরাম মান্ডি বলেন, ‘‘বাম আমলে নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে যে পরিকল্পনা হয়েছিল ওইটুকুই। নতুন করে কেশিয়াড়ির নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়নে কেউ উদ্যোগী হয়নি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘রাস্তাঘাট উঁচু হয়ে যাওয়ায় নিকাশি সমস্যায় স্থানীয়রা জেরবার। অথচ পঞ্চায়েত সমিতি সমস্যা সমাধানে উদাসীন। অবিলম্বে নিকাশি ব্যবস্থার মানোন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।”
এ বিষয়ে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি অশোক রাউত বলেন, “কেশিয়াড়ি মোড়কে কেন্দ্র করে বেলদার রাস্তায় নতুন করে ও কুলবনি থেকে খড়্গপুর রাস্তায় সংযুক্ত দু’টি নর্দমা গড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। আমাদের আর্থিক ক্ষমতা সীমিত। তাই যেটুকু সাধ্য তাই দিয়েই কাজ করছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy