প্রতীকী ছবি।
শাসকদল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল জেলার বিভিন্ন এলাকায় সামনে এসেছে একাধিকবার। এবার লোকসভা ভোটে ভাল ফল করার পরে বিজেপির বিজয় মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দলেরই আর এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন বিজেপি জেলা নেতৃত্ব।
রাজ্যে দলের ভাল ফলের জন্য বিজয় মিছিলের আয়োজন করেছিলেন শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের নোনাকুড়ি এলাকার বিজেপি কর্মী- সমর্থকরা। বিজেপির বল্লুক-১ অঞ্চলের প্রাক্তন সভাপতি বৃন্দাবন মাইতির নেতৃত্বে একদল বিজেপি সমর্থক বাজনা-মাইক নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নোনাকুড়ি বাজারে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কে বিজয় মিছিল করেছিলেন। ফিরে আসার সময় পান বাজারের কাছে বৃন্দাবনের বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন তাঁদের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। বৃন্দাবন-সহ মিছিলে থাকা পাঁচজনকে মারধর এবং মাইক ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। হামলকারীরা বৃন্দাবনকে স্থানীয় বিজেপি অফিসে আটকে রেখে মুচলেকা লিখিয়ে নেয় বলেও দাবি।
বৃন্দাবনের অভিযোগ, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশে দলের বিপুল জয় উপলক্ষে বিজয় মিছিল আয়োজন করি। কিন্তু মিছিলে একদল লোক হামলা চালিয়ে মারধর করে, মাইক সেট ভাঙে। আমাকে আটকে রেখে জোর করে মুচলেকা লেখানো হয়। বিজেপির নেতা হিসেবে পরিচয় দেওয়া নারায়ণ পালইয়ের অনুগামীরা ওই হামলার ঘটনায় জড়িত।’’ ঘটনায় বুধবার রাত পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলেই খবর।
বিজয় মিছিল ঘিরে গোলমালের কথা স্বীকার করেছেন বিজেপি’র লিগাল সেলের তমলুক জেলা আহ্বায়ক নারায়ণ পালই। তিনি বলেন, ‘‘বৃন্দাবন আগে বিজেপি দলের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও এখন তৃণমূল করেন। গত বছর পঞ্চায়েত ভোটে প্রকাশ্যেই তৃণমূলের হয়ে মিছিল করেছিলেন। এবার ভোটে বিজেপি জেতায় করায় উনি কিছু লোকজনের সঙ্গে বিজেপি’র পতাকা নিয়ে মিছিল করছিলেন। এতে আমাদের দলের কর্মী-সমর্থকেরা আপত্তি করেন। তাতে বচসা বাঁধে। মারধরের অভিযোগ ঠিক নয়।।’’ নারায়ণের কথায়, ‘‘তৃণমূলের মদতেই এভাবে মিছিল করে এলাকায় গোলমাল বাঁধানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’
শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক তৃণমূল আহ্বায়ক শরৎ মেট্যা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘বৃন্দাবন দীর্ঘদিন এলাকায় বিজেপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মঙ্গলবার তাঁর উপরে বিজেপিরই অন্য গোষ্ঠীর লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। দলের কোন্দল চাপা দিতে আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে।’’
গোটা ব্যাপারে বিজেপি’র তমলুক জেলা সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জন অধিকারী বলেন, ‘‘বৃন্দাবন দলের পুরনো কর্মী। তাঁর নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে গোলমালের ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। কী কারণে ওই ঘটনা, তা খোঁজ নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy