Advertisement
২০ জানুয়ারি ২০২৫

গোপগড়ের পার্কে চলবে টয়ট্রেন

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার মধ্যে গোপগড়েই প্রথম রোপওয়ে চালু হবে। সেই সঙ্গে ছোট-বড় সকলের মনোরঞ্জনের জন্য ইকো পার্কের একাংশের পরিধির মধ্যে ট্রয়ট্রেন চালু করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর।

পার্কের একাংশের পরিধির মধ্যে ট্রয়ট্রেন চালু করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর।—প্রতীকী ছবি।

পার্কের একাংশের পরিধির মধ্যে ট্রয়ট্রেন চালু করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর।—প্রতীকী ছবি।

কিংশুক গুপ্ত
শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৭ ১০:২৭
Share: Save:

আকর্ষণ বাড়াতে সেজে উঠছে পশ্চিম মেদিনীপুরের গোপগড় ইকো পার্ক। এ বার এই পার্কে চালু হবে রোপওয়ে ও টয়ট্রেন-ও। এ জন্য জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পর্যটন দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠাচ্ছে মেদিনীপুর বন বিভাগ। প্রকল্পের জন্য আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে তিন কোটি টাকা। পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গোপগড়ের আকর্ষণ বাড়ানোই মূল লক্ষ্য।

বন দফতরের ডিএফও (মেদিনীপুর) রবীন্দ্রনাথ সাহা জানালেন, এমন ভাবে রোপওয়েটি করা হবে, যাতে চলমান ঝুলন্ত অবস্থায় উপর থেকে পার্কের সৌন্দর্য দেখতে পাবেন আরোহীরা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার মধ্যে গোপগড়েই প্রথম রোপওয়ে চালু হবে। সেই সঙ্গে ছোট-বড় সকলের মনোরঞ্জনের জন্য ইকো পার্কের একাংশের পরিধির মধ্যে ট্রয়ট্রেন চালু করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর। পার্কে অর্কিড ও প্রজাপতির উদ্যানও তৈরি করা হবে।

মেদিনীপুর শহরের উপকন্ঠে প্রায় ৬৪ হেক্টর এলাকা জুড়ে রয়েছে বন দফতরের গোপগড় ইকো পার্ক। প্রকৃতির মাঝে বনভোজন, বিনোদন ও বেড়ানোর আদর্শ জায়গা এটি। এখানে রয়েছে বন দফতরের অতিথিশালা, ‘ওয়াচ টাওয়ার’, বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ বাগান। সপ্তাহে সাতদিনই খোলা থাকে এই প্রকৃতি উদ্যান। পার্কের মাঝে রয়েছে একটি হেরিটেজ ভবন। প্রতিদিন বহু মানুষ এই পার্কে বেড়াতে আসেন। উঁচু টিলার উপর ভবনটি প্রাচীন ইতিহাসের স্মারক।

পার্কের হেরিটেজ ভবনটিকে ঘিরে আলো ও ধ্বনির সাহায্যে মেদিনীপুরের অতীত ইতিহাস বিষয়ক একটি দৈনিক অনুষ্ঠান তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ডিএফও জানান, ওই অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু কী হবে তা নিয়ে মেদিনীপুরের দুই বিশিষ্ট লোকসংস্কৃতি ও পুরাতত্ত্ব গবেষক মধুপ দে ও চিন্ময় দাসের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে।

গোপগড় এলাকাটির প্রাচীন ইতিহাস নিয়ে নানা ধরনের জনশ্রুতি রয়েছে। কেউ বলেন মহাভারতের বিরাট রাজার গড় ছিল এটি। আবার কারও মতে, এই এলাকায় ওড়িশার রায়বনিয়া গড়ের রাজা বিরাটগুহর দুর্গ ছিল। যদিও সেই দুর্গের এখন আর কোনও অস্তিত্ব নেই। ইংরেজ আমলে এখানে নীলকুঠি তৈরি হয়েছিল। সেটিরও আর কোনও অস্তিত্ব নেই। গবেষকদের মতে, এখন ‘হেরিটেজ ভবন’-এর তকমা পাওয়া লাল ইঁটের ভাঙাচোরা অট্টালিকাটি প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো। হুগলির তেলিনিপাড়ার বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের কোনও এক জমিদার বাগানবাড়ি হিসেবে ওই ভবনটি তৈরি করেছিলেন বলে শোনা যায়।

অন্য বিষয়গুলি:

Toy train মেদিনীপুর Midnapore Gopegarh Eco park গোপগড় ইকো পার্ক
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy