সামান্য বৃষ্টিতেই ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ত ঘরে। ভেঙে গিয়েছিল দরজা-জানলা। আর ‘ইলেকট্রিক ওয়্যারিংয়ের তো অস্তিত্ত্বই ছিল না। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে দে পাড়ায় মেদিনীপুর সদর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসনগুলি এমনই জরাজীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালের হালও ভাল ছিল না। সমস্যা মেটাতে হাসপাতালের সার্বিক উন্নয়নে পদক্ষেপ করল প্রশাসন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, হাসপাতালের ১৭টি আবাসন সংস্কারের পাশাপাশি সীমানা পাঁচিল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তৈরি করা হচ্ছে কমিউনিটি হল। আবাসন সংস্কারে ২৯ লক্ষ টাকা দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। পাঁচিল নির্মাণে ৫১ লক্ষ টাকা ও কমিউনিটি হলের জন্য ৩৪ লক্ষ টাকা দিয়েছে প্রশাসন। মেদিনীপুর সদরের বিডিও ঋত্বিক হাজরা বলেন, “হাসপাতালের সুরক্ষার জন্য পাঁচিল ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য কমিউনিটি হল তৈরিতে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।’’ বিএমওএইচ মৌসুমী সোম জানান, কমিউনিটি হল ও আবাসন সংস্কারের কাজ প্রায় শেষ। পাঁচিল তৈরিও শুরু হয়ে গিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি আবাসনেই নতুন করে জলছাদ তৈরি, ভেঙে পড়া দরজা, জানালা সংস্কার, ইলেট্রিক ওয়্যারিং, রং— সবই হয়েছে। করা হচ্ছে জলের ব্যবস্থা। কমিউনিটি হলের কাজও প্রায় শেষ। পাঁচিল দেওয়া অবশ্য সবে শুরু হয়েছে। এতদিন পাঁচিল না থাকায় অবাধে বহিরাগতরা হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে যেত। ঢুকে পড়ত গরু-ছাগলও। ওই এলাকায় আবার হাতির উত্পাত রয়েছে। যখন জঙ্গলে হাতি আসে তখন চূড়ান্ত দুশ্চিন্তায় কাটাতে হয় রোগী ও চিকিত্সকদের। পাঁচিল দিলে সেই সমস্যা মিটবে বলেই আশা। সেই সঙ্গে কমিউনিটি হল হওয়ায় চিকিত্সক, নার্স ও আশাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক, বিভিন্ন প্রশিক্ষণও এ বার হাসপাতালেই করা যাবে।