Advertisement
০৭ মে ২০২৪

বধূকে খুনের নালিশ, দ্রুত তদন্তের দাবি

বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল পিংলায়। যদিও ছবি দাস (৩৮) নামে ওই মহিলাকে খুনের অভিযোগে গ্রামবাসীরা প্রায় পাঁচ ঘণ্টা মৃতদেহ আটকে রাখায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। শুক্রবার সকালে পিংলা থানার হাদোল গ্রামের ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মৃতার স্বামী প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক মদন দাস দ্বিতীয় বার বিয়ে করেছেন। তাই ছবিদেবীকে খুন করা হয়েছে। ওই ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবিও জানান তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৫ ০১:১৭
Share: Save:

বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল পিংলায়। যদিও ছবি দাস (৩৮) নামে ওই মহিলাকে খুনের অভিযোগে গ্রামবাসীরা প্রায় পাঁচ ঘণ্টা মৃতদেহ আটকে রাখায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। শুক্রবার সকালে পিংলা থানার হাদোল গ্রামের ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মৃতার স্বামী প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক মদন দাস দ্বিতীয় বার বিয়ে করেছেন। তাই ছবিদেবীকে খুন করা হয়েছে। ওই ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবিও জানান তারা। মৃতার বাপের বাড়ির লোকেরাও মদনের বিরুদ্ধে ছবিদেবীকে খুনের অভিযোগ তোলেন। যদিও এ দিন বিকেল পর্যন্ত পুলিশে তাঁরা কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। পুলিশ উপযুক্ত তদন্তের আশ্বাস দিলে গ্রামবাসীরা মৃতদেহটি নিয়ে যেতে দেয়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আঠারো বছর আগে হাদল গ্রামের বাসিন্দা মদন দাসের সঙ্গে তেঁতুলমুড়ির ছবিদেবীর বিয়ে হয়েছিল। মাস পাঁচেক আগে তাঁদের এক মেয়ের বিয়েও হয়েছে। বছর তিনেক ধরেই তাঁদের পরিবারে নানা বিষয় নিয়ে অশান্তি চলছিল। স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভাল না থাকায় সবংয়ের পানপাড়ার বাসিন্দা পার্বতী মল্লিক নামে এক মহিলাকে বিয়ে করেন মদন। দ্বিতীয় বউকেও মদন একই বাড়িতে নিয়ে আসেন। প্রায়ই নানা বিষয় নিয়ে ছবিদেবীর সঙ্গে পাবর্তীদেবীর অসান্তি লেগেই থাকত। মাস খানেক আগে একটি বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন ছবিদেবী। ওই মামলায় ১৪ দিন জেলে থাকার পর সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পান মদন।

স্থানীয় গ্রামবাসীর দাবি, বৃহস্পতিবার রাতেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ছবিদেবীকে খুন করে ঝুলিয়ে দেয়। যদিও এ দিন রাতে বাড়িতে ছিলেন না মদন। শুক্রবার সকালে পার্বতীদেবীর বাপের বাড়ির লোকেরা পিংলায় আসনে। এ দিন সকালে তাঁরা হঠাৎ চিৎকার শুরু করেন। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ছায়াদেবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। মৃতের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা দাবি করেন, ছায়াদেবী আত্মহত্যা করেছেন। যদিও স্থানীয় গ্রামবাসী কার্তিক দাস বলেন, “দেহ দেখে বোঝা যাচ্ছে এটা আত্মহত্যার ঘটনা নয়। অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছিল ওই বধূর। তবে এটা ঠিক রাতে মদন বাড়িতে ছিলেন না। কিন্তু সন্ধ্যায় খুন করে সকালে এসে কেউ নাটক করতেই পারেন।”

তাই এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের দাবিতে এ দিন সকাল থেকে পাঁচ ঘণ্টা মৃতদেহ ঘিরে রাখা হয়। যদিও এ দিন ছায়াদেবীর বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে পিংলা থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। মৃতার দাদা যুগল কিশোর বেরার অভিয়োগ, “বালিশ চাপা দিয়ে তাঁর বোনকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছেন জামাই ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তাই বোনের মুখ থেকে তুলো পাওয়া যাচ্ছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়ে গেলেই থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাবো। ওঁদের শাস্তি চাই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE