দলের এক নেতাকে নিগ্রহ করেছে পুলিশ— এই অভিযোগে খড়্গপুর টাউন থানায় বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। চলল স্লোগান। দাবি উঠল, বদল করতে হবে আইসি।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সকালে। শহরের রেলের অধীনে থাকা গোলবাজারে বেআইনি জবরদখল উচ্ছেদে অভিযানে নামে রেল প্রশাসন। বাটামোড়ের কাছে থাকা বেশ কয়েকটি দোকান উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু করেন রেলের ওয়ার্কস বিভাগের কর্তারা। সঙ্গে ছিল রেল সুরক্ষা বাহিনী ও খড়্গপুর টাউন পুলিশ। সেই সময়ে ঘটনাস্থলে যান তৃণমূলের রেল শ্রমিক সংগঠনের নেতা তপন সেনগুপ্ত। রমজান মাস চলাকালীন কেন উচ্ছেদ অভিযান চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। সেই সময়েই পৌঁছন খড়্গপুর টাউন থানার আইসি জ্ঞানদেও প্রসাদ সাউ।
তৃণমূলের অভিযোগ, আইসি তপনবাবুকে ধাক্কা মারতে থাকেন। আইসির সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তপনবাবু। পরে অবশ্য তৃণমূলের শহর কমিটির নির্দেশে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান তপনবাবু। তিনি বলেন, “দলের শহর সভাপতির নির্দেশে আমি ওখানে গিয়েছিলাম। আসলে রমজান মাস চলায় কয়েকটি দোকান ভাঙা নিয়ে আমি রেল রেল কর্তাদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। সেই সময় আইসি আমাকে ধাক্কা মারতে থাকেন।”
বুধবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ তৃণমূলের গোলবাজার শাখার কর্মীরা থানার সামনে জমায়েত করেন। সঙ্গে ছিলেন ওই জবরদখলকারী দোকানিরা। আইসির বিরুদ্ধে শুরু হয় বিক্ষোভ। তার পরে থানায় পৌঁছন তপনবাবু ও কয়েকজন তৃণমূল কাউন্সিলর। বৈঠক সেরে থানায় পৌঁছন তৃণমূলের শহর নেতৃত্ব। আইসির সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে আলোচনা। পরে দু’পক্ষের মীমাংসায় উঠে যায় বিক্ষোভ। তৃণমূলের শহর সভাপতি রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, “আমার নির্দেশেই তপনবাবু গোলবাজারে উচ্ছেদ চলাকালীন রেল আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। আইসি তপনবাবুকে নিগ্রহ করে। ধাক্কা মারেন। আইসির এমন আচরণ ঠিক হয়নি। তাই আমরা থানায় গিয়েছিলাম।’’
নেতা নিগ্রহের প্রতিবাদে থানায় গিয়ে বিক্ষোভের ঘটনায় আলোচনা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরেও। অনেকেই বলছেন, জেলায় ভারতী ঘোষ পুলিশ সুপার থাকাকালীন পুলিশের বিরুদ্ধে এভাবে বিক্ষোভ দেখানোর সাহস পেতেন না তৃণমূলের কর্মীরা। থানায় যে স্লোগান দেওয়া হয়েছিল তা মেনে নিয়েছেন রবিশঙ্করবাবুও। তাঁর কথায়, ‘‘আমি থানায় ঢোকার আগে কয়েকজন কর্মী স্লোগান দিয়েছিল। আমি যাওয়ার পরে আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা হয়েছে।” যদিও এমন ঘটনা নিয়ে খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “কোনও নেতাকে হেনস্থা করা হয়েছে বলে আমার কাছে কেউ অভিযোগ জানায়নি। তবে রাতে কয়েকজন থানায় গিয়েছিল। স্লোগান দিয়েছিল। পরে আলোচনার মাধ্যমে সম্ভবত মীমাংসা হয়ে গিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy