নতুন বছরের গোড়ায় ফের পশ্চিম মেদিনীপুরে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, আগামী ২ জানুয়ারি তিনি মেদিনীপুরে আসতে পারেন। ৩ তারিখ জঙ্গলমহল কাপের পুরস্কার বিতরণ এবং জঙ্গলমহ উৎসবের সূচনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ৪ জানুয়ারি মেদিনীপুর ছাড়বেন মুখ্যমন্ত্রী।
জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ তথা তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতিও মানছেন, “নতুন বছরের গোড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর জেলায় আসার কথা রয়েছে।”
জঙ্গলমহল কাপের পুরস্কার বিতরণ সম্ভবত হবে মেদিনীপুর কলেজ মাঠে। জঙ্গলমহল উৎসব হবে ঝাড়গ্রামে। তবে মেদিনীপুর থেকেই সেই উৎসবের উদ্বোধন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জেলার এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের প্রস্তুতিতে সব পদক্ষেপ সারা হচ্ছে।”
জঙ্গলমহল উত্সবের প্রস্তুতি হিসেবে গত মাসেই মেদিনীপুরে এক বৈঠকে হাজির ছিলেন বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের আধিকারিকেরা। ছিলেন উত্সবের আয়োজক পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো-সহ শীর্ষ কর্তারাও। ইতিমধ্যে ব্লকস্তরে জঙ্গলমহল উত্সব হয়েছে। রাজ্যস্তরের উত্সব ঝাড়গ্রামে হওয়ার কথা। গত দু’বছরও ঝাড়গ্রামেই হয়েছে। তবে এ বার উৎসবের দিন বাড়িয়ে পাঁচদিনের বদলে ছ’দিন হচ্ছে। জঙ্গলমহলের তিন জেলার জন্য একদিন করে বরাদ্দ থাকবে। নির্দিষ্ট দিনে সেই জেলার সাংস্কৃতিক দলগুলো অনুষ্ঠান করবে। বর্ধমান এবং বীরভূমও পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের অধীনে রয়েছে। এই দুই জেলার জন্যও একটি করে দিন বরাদ্দ থাকছে। আর একটা দিন রাজ্যস্তরের জন্য রাখা হবে। পর্ষদের এক কর্তার কথায়, “কী ভাবে এই উৎসব আরও আকর্ষণীয় করে তোলা যায়, তার চেষ্টা চলছে।”
জঙ্গলমহল কাপের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ফুটবলাররা থাকেন। এ বারও তাঁরা থাকতে পারেন। জঙ্গলমহল কাপে যে সব খেলোয়াড় যোগ দিয়েছেন, তাঁরাও ওই দিন মাঠে আসবেন। এমন খেলোয়াড়ের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy