ফাইল চিত্র।
চন্দ্রকোনা: গ্রামে ঘুরে ঘুরে একশো দিনের কাজের মান খতিয়ে দেখলেন দুই সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার চন্দ্রকোনা ১ এবং ২ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় যান তাঁরা। একশো দিনের প্রকল্পে তৈরি বিভিন্ন সম্পদ, রাস্তাঘাট, নিকাশি নালা ঘুরে দেখেন। স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেন। প্রকল্পের যাবতীয় নির্দেশিকা যথাযথ পালন করা হয়েছে কি না, তা-ও পরখ করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সোমবার চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের জারা এলাকায় গিয়েছিল দলটি।
কেন্দ্রীয় দলটির সঙ্গে ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসক রশ্মি কমল, গ্রামোন্নয়ন দফতরের যুগ্ম সচিব অঞ্জন চক্রবর্তী, ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস, চন্দ্রকোনা ১ এর বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী, চন্দ্রকোনা ২ বিডিও অমিত ঘোষ প্রমুখ। এ দিন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি প্রথমে চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের ভগবন্তপুরে যান। সেখানে মহেশপুর-মুড়াকাটা পাকা রাস্তা, ভৈরব খালের সংস্কার-সহ একশো দিন প্রকল্পে হওয়া বিভিন্ন কাজ ঘুরে দেখেন। প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা-সহ সব তথ্য টাঙানো রয়েছে কি না তার খুঁটিনাটি দেখেন। সেখান থেকে চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের মানিককুন্ডু পঞ্চায়েতের কাসন্দ গ্রামে যান তাঁরা। সেখানে একশো দিনের প্রকল্পের টাকায় তৈরি মাটির নিকাশি নালা, একটি ঢালাই ও কংক্রিটের রাস্তাও দেখেন। প্রকল্পের কাজের সঙ্গে যুক্ত সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। সমস্যার কথা জানতে চান। আবাস যোজনা বাড়ি নিয়েও খোঁজখবর নেন।
কাজ খতিয়ে দেখার পরে কেন্দ্রীয় দলটি চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের কালিকাপুর এবং চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের ভগবন্তপুর মার্কেট কমপ্লেক্সে দু’দফায় বৈঠক করেন। দু’টি বৈঠকেই মূলত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা ছিলেন। সূত্রের খবর, একশো দিনের কাজে কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, কাজের কেমন চাহিদা, কোন কাজ বেশি হয়, এরকম নানা বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আবাস যোজনার উপভোক্তারা কাজ ঠিকঠাক পেয়েছেন কিনা, জবকার্ড নিয়ে কোনও সমস্যা রয়েছে কি না জানতে চাওয়া হয়। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা ঠিকঠাক ঋণ পাচ্ছেন কি না তা-ও খোঁজ নেওয়া হয়। চন্দ্রকোনা থেকে মঙ্গলবার বিকালে কলকাতা ফিরে যায় কেন্দ্রীয় দলটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy