অর্থলগ্নি সংস্থার অন্যতম কর্তা তিনি। আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে ইতিমধ্যেই কাঠগড়ায়। বহুদিন আগেই জারি হয়েছিল গ্রেফতারি পরোয়ানা। কিন্তু পুলিশ তাঁর খোঁজ পায়নি। বৃহস্পতিবার গ্রামের বাসিন্দারাই ঘিরে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন।
বৃহস্পতিবার কাঁথি থানার পুলিশ বহলিয়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে আইকোর-এর অন্যতম শীর্ষ কর্তা রাধেশ্যাম গিরিকে। অবশ্য আগেই ধরা পড়েছেন সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনুকূল মাইতি। তিনি আপাতত জেল হাজতে। কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাধেশ্যাম গিরির নামেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
জানা গিয়েছে, রাধেশ্যাম আদতে বহলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। এখানকার একটি সমবায় সমিতিতে তাঁর নিজের নামে মোটা টাকা গচ্ছিত রাখা ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি সেই টাকা তুলতেই এসেছিলেন গ্রামে। খবর ছিল না পুলিশের কাছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারাই রাধেশ্যামকে ঘিরে রাখেন। খবর দেওয়া হয় কাঁথি থানায়। পরে পুলিশ এসে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় তাঁকে। শুক্রবার কাঁথি আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতকে আগামীকাল, শনিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে হাজির করানোর নির্দেশ দেন।
গত বছর এপ্রিল মাসে গ্রেফতার করা হয় আইকোরের শীর্ষকর্তা অনুকূল মাইতিকে। সে সময় ডিআইজি (সিআইডি) দিলীপ আদক জানিয়েছিলেন, ২০১৪ সালের জুন মাসে এক আমানতকারী বেলঘরিয়া থানায় ওই সংস্থার বিরুদ্ধে ছ’লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। সে বছর নভেম্বরে তদন্তে নামে সিআইডি। জানা যায়, আইকোর ‘ই-সার্ভিস’-এর নামে ওই আমানতকারীর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে। আইকোরের নামে যত সংস্থা রয়েছে, সব ক’টিরই ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনুকূল মাইতি। তাঁর এজেন্টের সংখ্যা ১৭ হাজার। নিজের স্ত্রী ছাড়াও ১২ জন ডিরেক্টর ছিলেন। সে সময় সকলকেই পলাতক বলে জানিয়েছিল সিআইডি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy