নতুন দলে! নিজস্ব চিত্র
সিপিএম থেকে বিজেপি ঘুরে লক্ষ্ণণ শেঠ এ বার কংগ্রেসে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব সূত্রে এমনটাই শোনা যাচ্ছে। ‘পদ্ম’ শিবির ছেড়ে এ বার ‘হাত’-এ যুক্ত হতে চলেছেন তমলুকের প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ। জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব সূত্রে জানানো হয়েছে, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার কলকাতায় ‘বিধান ভবনে’ আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দেবেন লক্ষ্মণ শেঠ। জেলা কংগ্রেস সভাপতি মানিক ভৌমিক বলেন, ‘‘এআইসিসি ও প্রদেশ নেতৃত্ব সব কিছু ঠিক করছে বলে শুনেছি।’’
প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন প্রদেশ দফতরে এআইসিসি-র তরফে রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত গৌরব গগৈ এবং প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্র দলীয় পতাকা লক্ষণবাবুর হাতে তুলে দেবেন বলে স্থির হয়েছে।
বুধবার প্রদেশ সভাপতি বলেন, ‘‘কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন লক্ষ্মণ শেঠ। দিল্লির ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছেন উনি। তবে এতে দলের লাভ না ক্ষতি, তা উনি এলেই বোঝা যাবে।’’ লক্ষ্ণণবাবুকে লোকসভায় প্রার্থী করা হবে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে সোমেনবাবু বলেন, ‘‘প্রার্থী করতে হবে, এমন শর্ত নেই।’’
আর লক্ষ্ণণবাবুর কথায়, ‘‘সব কিছু পাকা হয়ে গিয়েছে। প্রদেশ দফতরে গিয়ে নতুন দলের পতাকা হাতে ধরে যুক্ত হব।’’
গত পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল হলদিয়ার ‘বহিষ্কৃত’ এই সিপিএম নেতার। কেন না তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘আই কেয়ার’ পরিচালিত একটি ল’কলেজের অনুষ্ঠানে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যা আদৌ ভাল চোখে দেখেননি বিজেপি নেতৃত্ব। তাই বিজেপির কোনও কর্মসূচিতেও অংশ নিতে দেখা যেত না লক্ষ্ণণবাবুকে। সম্প্রতি তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। এক সময় নন্দীগ্রাম কাণ্ডে জড়িয়ে যাওয়া তৎকালীন এই সিপিএম নেতাকে দলে নেওয়ার প্রসঙ্গে প্রাথমিক ভাবে আপত্তি তুলেছিলেন কংগ্রেসের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ।
শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের জন্য সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর ‘ভারত নির্মাণ মঞ্চ’ নামে সংগঠন গড়ে তোলেন লক্ষ্ণণবাবু, কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে তেমন সুবিধা করতে না পেরে তৃণমূলে ঢোকার চেষ্টা চালিয়েও সফল না হওয়ায় বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।
জেলার তৃণমূল নেতা দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘উনি একেবারে গুরুত্বহীন। যেখানে ইচ্ছে যেতেই পারেন। তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না।’’
বিজেপির জেলা সভাপতি (তমলুক) প্রদীপ কুমার দাস বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে মতাদর্শগত বিভেদ ঘটছিল। এ ভাবে বারবার শিবির বদলালে রাজনীতিক হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা তলানিতে ঠেকে। তবে এর ফলে বিজেপির কোনও লোকসান হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy