সমবেত: ঝাড়গ্রাম শহরে চলছে জঙ্গলমহল উৎসব। নিজস্ব চিত্র
লোকবাদ্যের দ্রিমি-দ্রিমি বোলে মুখরিত শহর। রঙিন শাড়ি আর নাচের ছন্দবন্ধে কুমুদকুমারী বিদ্যালয়ের মাঠে ঢুকছে একের পর এক নৃত্যগোষ্ঠী। বুধবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম শহরে শুরু হল জঙ্গলমহল উৎসব। এ বার উৎসবের চতুর্থ বর্ষ।
বীরভূমের আমোদপুরের এক প্রশাসনিক জনসভা থেকে দূর নিয়ন্ত্রিত সাহায্যে উৎসবের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ঝাড়গ্রামেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতো, ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আর অর্জুন, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, ঝাড়গ্রামের সভাধিপতি সমায় মাণ্ডি, পশ্চিম মেদিনীপুরের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ প্রমুখ। আটদিনের এই উৎসব ঘিরে শহর এখন উৎসবমুখর। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিষয়ক দফতর এবং পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে জঙ্গলমহল উৎসবের আয়োজন। এর আগে ব্লক, জেলাস্তরেও জঙ্গলমহল উৎসব হয়েছে। ঝাড়গ্রামের এই উৎসবটি রাজ্যস্তরের। জঙ্গলমহলের চার জেলা ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার ২৪টি ব্লকের ৪৮০টি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী ও সংস্থাকে ধামসা-মাদল প্রদান করা হয় এ দিন। প্রায় তিনশো লোক সাংস্কৃতিক দল নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করবে উৎসব প্রাঙ্গনে।
গ্রামীণ হস্তশিল্প কারিগরি হাটের আদলে উৎসব প্রাঙ্গন তৈরি হয়েছে। মূল মঞ্চ ও প্রাঙ্গণের মাঝে আটচালা এবং স্টলেও জঙ্গলমহলের গ্রামীণ সংস্কৃতির ছোঁয়া রয়েছে। এ বার উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ‘লেজার শো’। সবমিলিয়ে প্রায় সাত হাজার লোকশিল্পী এই উৎসবে যোগ দেবেন।
বুধবার থেকেই উৎসব প্রাঙ্গণে ভিড় করতে শুরু করেছেন উৎসাহী মানুষজন। উৎসবে থাকছে চাঙ-নাচ, রণ পা নাচ, পাতা নাচ, করম নাচ, বাহা নাচ, ভুয়াং নাচ, সাড়পা নাচ, ঘোড়া নাচ, নাটুয়া নাচ, পাইক নাচ, ঢালি নাচ, রায়বেশে নাচ প্রভৃতি। থাকছে ঝুমুরগান, ভাদুগান, বাউলগান-সহ নানা ধরণের লোকনৃত্য দেখার ও লোকসঙ্গীত শোনার সুযোগ। উৎসব ঘিরে সেজেও উঠেছে কুমুদকুমারী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy