খাঁ-খাঁ করছে বাজার।
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরে দু’বছর কেটে গিয়েছে। অথচ ঝাড়গ্রাম কিসান মান্ডি চালু করা গেল না। মাস চারেক আগে জোর করে কিসান মান্ডি চালু করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন কৃষিজ বিপণন দফতরের আধিকারিকরা। এরপর প্রশাসনিকস্তরে মান্ডি চালুর জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রায় কোটি টাকা খরচ করে তৈরি কিসান মান্ডিটি পড়ে রয়েছে পরিত্যক্ত অবস্থায়।
ঝাড়গ্রাম শহরের উপকন্ঠে জামদায় কৃষি দফতরের ৬ একর জমিতে কিসান বাজারটি তৈরি করা হয়েছে। ২০১৪ সালে বেলপাহাড়ির এক প্রশাসনিক সভা থেকে ঝাড়গ্রাম কিসান মাণ্ডির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে পাইকারি সব্জি বাজারটি কিষান মান্ডিতে চালু করার সিদ্ধান্ত হয়। গত ১১ অগস্ট জোর করে সব্জি চাষিদের কিসান মান্ডিতে যেতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু পাইকার ব্যবসায়ীরা মান্ডিতে সব্জি কিনতে যাননি। ফলে, চাষিদের বিস্তর ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।
সব্জি চাষিদের অবশ্য বক্তব্য, ঝাড়গ্রামের পুরনো সব্জি বাজারটি রেল স্টেশনের একেবারে লাগোয়া। সিংহভাগ সব্জি পাইকার-রা আসেন ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা থেকে। ভোরের মধ্যেই চাষিদের সব্জি বিক্রি হয়ে যায়। ঝাড়গ্রামের হাটে সব্জি নিয়ে গেলে আড়তদারের মাধ্যমে ভোরের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যায়। কিন্তু কিসান মান্ডিটি তৈরি হয়েছে ঝাড়গ্রাম রেল স্টেশন থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে জামদা এলাকায় একেবারে অরণ্যশহরের শেষ প্রান্তে। ঝাড়গ্রাম মহকুমার সহ কৃষিজ বিপণন অধিকর্তা (প্রশাসন) অঞ্জন ঘোষাল বলেন, “কিসান মান্ডিটি চালুর জন্য চেষ্টা হচ্ছে।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ বলেন, “ঝাড়গ্রাম কিসান মান্ডি চালু করতেই হবে। পাইকার ও খুচরো ব্যবসা এক ছাদের তলায় হলে অবশ্যই নতুন বাজারটি জমে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy