যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াতে সাঁতরাগাছি ও শালিমার স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়ার কথা জানাল রেল। খড়্গপুর স্টেশনে হবে নতুন লিফ্ট, ফুটব্রিজ। মঙ্গলবার খড়্গপুরে সাংবাদিক বৈঠকে গত এক বছরে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর ডিভিশনে উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ানও তুলে ধরেন ডিআরএম রাজকুমার মঙ্গলা।
রেল সূত্রে জানানো হয়, ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর ডিভিশনে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণের পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৫-’১৬ অর্থবর্ষে এই ডিভিশনে প্রায় ১৮০ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহণ হয়েছিল। গত অর্থবর্ষে যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৮২মিলিয়ন। বেড়েছে আয়ও। ২০১৫-’১৬ অর্থবর্ষে খড়্গপুর ডিভিশন থেকে রেলের আয় হয়েছিল প্রায় ১১৬২ কোটি টাকা। গত অর্থবর্ষে আয় বেড়ে হয়েছে প্রায় ১২১১ কোটি টাকা।
পণ্য পরিবহণেও পিছিয়ে নেই খড়্গপুর ডিভিশন। ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষে খড়্গপুর ডিভিশনে প্রায় ১৭ মেট্রিক টন পণ্য পরিবহণ করেছে রেল। গোটা দক্ষিণ-পূর্ব রেলেই গত অর্থবর্ষে পণ্য পরিবহণের হার ১০ শতাংশ বেড়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আয় প্রায় ১০ হাজার ৮১৯ কোটি থেকে বেড়ে ১১ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা হয়েছে। খড়্গপুরের ডিআরএম রাজকুমার মঙ্গলা বলেন, “২০১৫-’১৬ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষে খড়্গপুর ডিভিশনে যাত্রী পরিবহণ ও আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।”
আয়ের পরিমাণ বাড়ায় খড়্গপুর ডিভিশনের অন্য স্টেশনগুলির মানোন্নয়নের কথাও জানান ডিআরএম। তিনি জানান, এ বার যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে সাঁতরাগাছি ও শালিমার স্টেশনকে উন্নতমানের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আপাতত ওই দুই স্টেশনেই দু’টি করে অতিরিক্ত প্ল্যাটফর্ম, শৌচাগার, বিশ্রামাগার তৈরি করা হচ্ছে। সাঁতরাগাছি স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে জাতীয় সড়ককে যুক্ত করা হবে। শালিমার স্টেশন থেকে বাইরে বেরনোর জন্য একটি সাবওয়ে ও লঞ্চঘাটে যাওয়ার জন্য একটি রাস্তা গড়া হবে।
পরিকাঠামো উন্নয়নের তালিকায় বাদ নেই খড়্গপুর স্টেশনও। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী এসে খড়্গপুর স্টেশনকে বিশ্বমানের স্টেশন হিসেবে গড়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। খড়্গপুর স্টেশনকে আরও আধুনিক করতে ৭-৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মের জন্য একটি লিফ্ট, আরও একটি ফুটব্রিজ গড়ার কথা জানান ডিআরএম। ২০১৮সালের মধ্যেই খরিদা ও গিরি ময়দান রেলগেটে উড়ালপুল নির্মাণের কাজ শেষ করার আশ্বাসও দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy