শিলান্যাসের পর কেটে গিয়েছে পাঁচ বছর। এখনও শুরুই হয়নি ডেবরার বালিচক রেলগেটের উড়ালপুলের কাজ। প্রস্তাবিত উড়ালপুল নির্মাণের কাজ শুরু না হওয়ায় এ বার গণ অবস্থানে বসল স্থানীয় বাসিন্দারা। সোমবার ডেবরার বালিচক গোদাবাজারে বালিচক স্টেশন উন্নয়ন কমিটির পক্ষ থেকে গণ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
মাস কয়েক আগে স্থানীয় বালিচক উন্নয়ন কমিটির চাপে উড়ালপুলের কাজ নিয়ে উদ্যোগী হয় পূর্ত দফতর। পরে বৈঠকে ঠিক হয় রায়ত জমি না নিয়ে ২৩ মিটারের পরিবর্তে ১৮ মিটার জমিতে উড়ালপুল গড়া হবে। গত ২৫ নভেম্বর শুরু হয় উড়ালপুলের জমি নির্ধারণের কাজ। ভাঙা হয় কিছু দোকানপাট। কিন্তু কাজ বলতে ওই পর্যন্তই। কাজে ফের টালবাহানার অভিযোগে সোমবার বালিচকের সাধারণ নাগরিকদের নিয়ে স্টেশন উন্নয়ন কমিটি গন-অবস্থানে বসে।
কমিটির সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, “আমরা কী অসহায় বলে বোঝানো যাবে না। সাধারণ মানুষের দোকানপাট ভেঙে রেখে দেওয়া হল। অথচ উড়ালপুলের কাজ নিয়ে প্রশাসনিক টালবাহানা চলছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। প্রশাসনের অবশ্য কোনও হেলদোল নেই।” এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে এ বার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দক্ষিন-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর শাখার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন বালিচক। স্টেশনের পাশ দিয়েই গিয়েছে ডেবরা-সবং রাজ্য সড়ক। এই রাস্তাতেই পড়ে বালিচক রেলগেট। দিনে-দিনে দোকানপাট বেড়ে চলায় ক্রমে সঙ্কীর্ণ হয়েছে রাস্তা। দিনের অধিকাংশ সময় রেলগেটও বন্ধ থাকায় ডেবরা-সবং রাস্তায় যানজট দীর্ঘদিনের ছবি। এই কারণে ডেবরা-সবং রাস্তার বালিচক রেলগেটে উড়ালপুল তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের।
২০১১ সালে রেল ও রাজ্য যৌথ উদ্যোগে প্রায় ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই উড়ালপুল তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। ২০১২ সালের জুন মাসে ডেবরার হরিমতি হাইস্কুল ময়দানে এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বালিচক উড়ালপুলের শিলান্যাস করেন। তারপর পাঁচ বছর কেটে গেলেও উড়ালপুলের কাজ হয়নি।
স্থানীয়দের দাবির পরেও নির্মাণ কাজ শুরু না হওয়ায় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বালিচক স্টেশন উন্নয়ন কমিটি। তার পরে গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি কাজ শুরু হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। যদিও কাজ শুরু না হওয়ায় এ বার গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করল কমিটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy