Advertisement
E-Paper

গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে তালা পঞ্চায়েত অফিসে

দলের দুই গোষ্ঠীর বিরোধের জেরে গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে তালা মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের একাংশের বিরুদ্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের রঘুনাথপুর -১ গ্রামপঞ্চায়েতের এই ঘটনার জেরে সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা ছিল এলাকায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৬ ০০:৪৭
পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ভিড় স্থানীয়দের।

পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ভিড় স্থানীয়দের।

দলের দুই গোষ্ঠীর বিরোধের জেরে গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে তালা মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের একাংশের বিরুদ্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের রঘুনাথপুর -১ গ্রামপঞ্চায়েতের এই ঘটনার জেরে সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা ছিল এলাকায়।

দরজায় তালা মেরে দেওয়ার ফলে সোমবার সকালে ওই গ্রামপঞ্চায়েত অফিসের কর্মী-আধিকারিক ভিতরে ঢুকতে পারেননি। বিভিন্ন কাজের প্রয়োজনে আসা এলাকার সাধারণ বাসিন্দারাও গ্রামপঞ্চায়েত অফিসের ভিতরে ঢুকতে পারেননি। ঘটনার খবর পেয়ে ওই গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান-সহ অন্যান্য সদস্য দলের একাংশ কর্মী-সমর্থক সেখানে জড়ো হয়। এই নিয়ে ওই গ্রামপঞ্চায়েত অফিসের সামনে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্লক প্রশাসন ও পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। শেষমেষ দুপুর আড়াইটা নাগাদ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ওই গ্রামপঞ্চায়েত অফিসের তালা খোলা হয়।

রঘুনাথপুর গ্রামপঞ্চায়েত-১ এর তৃণমূল প্রধান বসুমতী বর্মনের অভিযোগ, ‘‘ গত শনিবার বিকেলে মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ তথা দলের স্থানীয় নেতা গৌরহরি মাজী হুমকি দিয়েছিল। তারপরই পঞ্চায়েত অফিসে তালা মারার ঘটনা ঘটল। ঘটনায় গৌরহরিবাবু জড়িত বলেই অনুমান।’’

প্রশাসনিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের রঘুনাথপুর-১ গ্রামপঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে রয়েছে। পঞ্চায়েতের প্রধান পদে রয়েছেন বসুমতী বর্মণ আর উপ-প্রধান পদে রয়েছেন কৌশিক বসু। তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের মধ্যে গোষ্ঠীবিন্যাসে বসুমতীদেবী তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের অনুগামী। কৌশিকবাবু ও শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ গৌরহরি মাজী তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি গ্রামপঞ্চায়েতের গ্রামসভা করা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ বাধে বলে অভিযোগ। আর তার জেরেই গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে তালা মারার ঘটনা।

অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরহরিবাবু জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর ডিমারি বাজারে গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামসভা আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই সভায় অধিকাংশ বাসিন্দা হাজির হননি। তা সত্ত্বেও কিছু কাজের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার অধিকাংশ গ্রামের কাজের কোনও পরিকল্পনা নেই। এ নিয়ে ওইসব এলাকার বাসিন্দারা আমার কাছে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। তবে গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে কারা তালা দিয়েছে জানা নেই। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। প্রধানকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও ভিত্তিহীন।’’

locked panchayat office
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy