মুখ-ঢেকে: ঠান্ডা থেকে বাঁচতে। মেদিনীপুরে। নিজস্ব চিত্র
কমতে কমতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছল ১১ ডিগ্রিতে! চলতি মরসুমে শীতলতম দিন দেখল মেদিনীপুর। এ বার মরসুমের গোড়া থেকে সে ভাবে শীতের দেখা মেলেনি। পরে অবশ্য শীতের কামড় টের পান সকলে। সপ্তাহ দু’য়েক ধীরে ধীরে পারদ নামতে শুরু করেছিল। মঙ্গলবার রাতে পারদ ১১ ডিগ্রিতে নেমে যায়। মেদিনীপুরে চলতি মরসুমে এর আগে কখনও তাপমাত্রার পারদ এতটা নামেনি। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের মেটিওরোলজি পার্ক সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মেদিনীপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলছেন, “মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি। এর আগে কখনও তাপমাত্রা এতটা নামেনি।” শুধু যে শীত জাঁকিয়ে বসেছে তা নয়, মেদিনীপুরে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম থাকছে। বাতাসের গতিবেগও অবশ্য কিছুটা কম। চলতি মরসুমে এর আগে পারদ ১২ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমেছে। তাপমাত্রা ওঠানামা করছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কথায়, “সপ্তাহ দেড়-দু’য়েক আগেও প্রায় এক-দেড় সপ্তাহ দিনের বেশির ভাগ সময়ই তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ১৩-১৪ ডিগ্রির আশপাশে। ভোরের দিকে কাঁপুনি দিয়েছে। আবার সকালের রোদে সেই কাঁপুনি খানিক কমেছে। অবশ্য ঠান্ডা ভাবটা যায়নি। দুপুর গড়ালেই ফের শীত-শীত শুরু করেছে। তবে ১১ ডিগ্রিতে তাপমাত্রার নেমে যাওয়া চলতি মরসুমে এই প্রথম।” ফলে, দুপুর গড়ালেই সোয়েটার, মাফলার, জ্যাকেট পরে বেরোতে হচ্ছে। রাত যত বাড়ছে, ঠান্ডাও তত বাড়ছে।
গত সাতদিনের মধ্যে চারদিনই মেদিনীপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি। শেষ কবে তাপমাত্রা অনেকটা নেমেছিল? মেটিওরোলজি পার্ক সূত্রে খবর, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ দিকে এমন পরিস্থিতি হয়েছিল। ওই সময়ও একদিন তাপমাত্রা ৭.৮ ডিগ্রি হয়ে যায়। ওটাই ছিল ওই মরসুমে মেদিনীপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এখন তাপমাত্রা যেখানে ঘোরাফেরা করছে, তাতে শীত আরও কিছুদিন থাকবে বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy