রোগীর পরিজনেদের বিক্ষোভ। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।
চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মঙ্গলবার সন্ধেয় হাসপাতালে ভর্তি হন সাপের ছোবলে অসুস্থ বছর ঊনিশের অঙ্কিতা মাইতি। বুধবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। রোগীর পরিজনেদের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতি থাকায় রোগীর মৃত্যু হল। এই অভিযোগে হাসপাতালে বিক্ষোভও দেখায় তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর শহরের নতুনবাজারের বাসিন্দা অঙ্কিতা মঙ্গলবার সন্ধেয় বাড়ির বাইরে শৌচাগারে গিয়েছিল। কিছুক্ষণ পরেই তাঁর চিৎকার শুনে বাড়ির লোকেরা এসে দেখেন, অঙ্কিতাকে সাপে ছোবল মেরেছে। তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অঙ্কিতার বাবা গোপাল মাইতির অভিযোগ, ‘‘ঘটনার পনেরোর মিনিটের মধ্যে মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। জুনিয়র ডাক্তাররা প্রথমে প্রশ্ন করেন, কোন সাপ কামড়েছে, সাপ ধরে আনেননি কেন? তারপর মেয়েকে ইঞ্জেকশন ও সালাইন দেওয়া হয়।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘হাসপাতাল থেকে কোনও রক্ত পরীক্ষা করা হয় নি। বাইরে থেকে রক্ত পরীক্ষা করে রির্পোট নিয়ে আসি। জুনিয়র ডাক্তারদের দেখাই। তাঁরা জানান, রোগী ভাল আছে।’’
অঙ্কিতার জেঠুর ছেলে প্রসেঞ্জিত মাইতির অভিযোগ, ‘‘রাত্রি তিনটে নাগাদ বোনের খিচুনি শুরু হয়। রোগীকে অক্সিজেন দিতে জুনিয়র ডাক্তারদের অনুরোধ করি। ভাল না বুঝলে রেফার করে দেওয়ার কথাও বলি। ডাক্তাররা পাল্টা বলেন, আপনারা বেশি বোঝেন তো রোগীকে এখানে কেন এনেছেন।’’ রোগীর পরিজনেদের অভিযোগ, অঙ্কিতার মামার মেয়ে টিঙ্কু প্রধান বুধবার সকাল ৯টায় দেখেন, বোনের শরীর খারাপ। চিকিৎসকদের জানালে তাঁরা রোগী ভাল আছে বলে এড়িয়ে যান। টিঙ্কুদেবীর অভিযোগ, ‘‘সাপের ছোবলে জখম রোগীকে পনেরো মিনিটের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজে আনা হল। তারপরেও সঠিক চিকিতসার অভাবে ও মারা গেল।’’
আগে মেদিনীপুর মেডিক্যালে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। এ দিনও চিকিতসায় গাফিলতির অভিযোগে সুপারকে স্মারকলিপিও জমা দেন রোগীর পরিজনেরা। এলাকার কাউন্সিলার সৌমেন খানের অভিযোগ, ‘‘পনেরো মিনিটের মধ্যে সাপের ছোবলে জখম রোগীকে হাসপাতালে এনেও বাঁচানো যাচ্ছে না, তাহলে চিকিতসা ব্যবস্থার কী উন্নতি হয়েছে।’’ হাসপাতালের সুপার তন্ময় পাঁজা বলেন, ‘‘চিকিতসার কোনও গাফিলতি হয়নি। সাপের ছোবলে জখম সব রোগীকে বাঁচানো যায় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy