Advertisement
E-Paper

নতুন ফুটব্রিজ পাচ্ছে খড়্গপুর

যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে আরও একটি ফুটব্রিজ গড়বে খড়্গপুর রেল। শনিবার সেরসা স্টেডিয়ামে রেলের ডিভিশনাল অফিসের আন্তঃবিভাগীয় ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল শেষে সাংবাদিক বৈঠকে ডিআরএম রাজকুমার মঙ্গলা এই পরিকল্পনার কথা জানান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৬ ০০:৩০

যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে আরও একটি ফুটব্রিজ গড়বে খড়্গপুর রেল। শনিবার সেরসা স্টেডিয়ামে রেলের ডিভিশনাল অফিসের আন্তঃবিভাগীয় ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল শেষে সাংবাদিক বৈঠকে ডিআরএম রাজকুমার মঙ্গলা এই পরিকল্পনার কথা জানান। গিরিময়দান সংলগ্ন খরিদা ও অরোরা রেলগেটের যানজট কাটাতে আগামী দু’মাসের মধ্যে উড়ালপুল তৈরির কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

খড়্গপুরের মতো ‘এ-ওয়ান’ স্টেশনের ৮টি প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য একটি ফুটব্রিজ রয়েছে। বহুদিনের পুরনো সঙ্কীর্ণ ওই ফুটব্রিজকে কেন্দ্র করেই লিফট, চলমান সিঁড়ি তৈরি করেছে রেল। কিন্তু যাত্রী সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। এখন দিনে ৩৫ হাজার মানুষ এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেন। ফলে, দিনের ব্যস্ত সময়ে সঙ্কীর্ণ ফুটব্রিজ দিয়ে পারাপারে নানা সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। এ বার তাই রেল বর্তমান ফুটব্রিজ থেকে কিছুটা দূরে দ্বিতীয় ফুটব্রিজ গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। এর জন্য প্রায় ১৫কোটি টাকা খরচ হবে। ডিআরএম রাজকুমার মঙ্গলা বলেন, “দ্বিতীয় একটি ফুটব্রিজ করার জন্য রেল বোর্ডে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে।”

গিরিময়দান স্টেশন সংলগ্ন খরিদা ও অরোরা রেলগেটে যানজটে নিত্য নাজেহাল শহরবাসী। সমস্যা মেটাতে রেলের পক্ষ থেকে উড়ালপুল তৈরির কথা বলা হয়েছিল। রাজ্য-রেলের যৌথ উদ্যোগে এই উড়ালপুল তৈরি হবে বলে ঠিক হয়। তবে ঘোষণা রূপায়িত না হওয়ায় ক্ষোভ ছড়াচ্ছিল। সম্প্রতি ওই উড়ালপুলের কাজ শুরু হবে বলে রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়। একটি উড়ালপুলের মাধ্যমে দু’টি রেলগেটকে যানজট মুক্ত করা যাবে বলে দাবি রেলের। এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়, এই উড়ালপুলের আগে যে নকশা হয়েছিল তাতে ৪০টি রেল কোয়ার্টার ভাঙতে হত। তাই নতুন নকশা হয়েছে। তাতে কোনও কোয়ার্টার ভাঙা পড়বে না। এ জন্য উড়ালপুলের দৈর্ঘ্য ১২৭৮ মিটার থেকে কমিয়ে ৬৯০ মিটার করা হয়েছে। এ জন্য ৫৮ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা ইতিমধ্যে বরাদ্দ করেছে রেল। ডিআরএম বলেন, “আগামী দু’মাসের মধ্যে উড়ালপুলের কাজ শুরু হবে। ২০১৮সালের মধ্যে কাজ শেষের সময়সীমা নিয়েছি।”

এ দিন আন্তঃবিভাগীয় ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনালে জয়ী হয় আরপিএফ বিভাগ। ১৭ অগস্ট শুরু হওয়া প্রতিযোগিতায় ডিভিশনের ৮টি বিভাগ যোগ দেয়। ফাইনালে পৌঁছয় ইলেক্ট্রিক্যাল ও আরপিএফ বিভাগ। ফাইনালে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জেতে আরপিএফ। জয়ী ও রানার্সকে পুরস্কার দেন ডিআরএম।

এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খড়্গপুরের এডিআরএম মনোরঞ্জন প্রধান, সিনিয়ার ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার কুলদীপ তিওয়ারি।

Kharagpur Flyover
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy