জগদ্ধাত্রীর পর এ বার দেব সেনাপতির আরাধনা। রাত পোহালেই কার্তিক পুজো। বারোয়ারির পাশাপাশি অনেক বাড়িতেও কার্তিক পুজো হয়। নোটের চোটে কার্তিক মূর্তি বিক্রিতে ভাটার টান। মুখ গোমড়া ঘাটালের কুমোরপাড়ার।
অন্য বছর পুজোর সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই বিক্রি বাড়ে কার্তিক মূর্তির। এ বার পুজোর দিন দু’য়েক আগেও বিক্রি না হওয়ায় পড়ে রয়েছে অনেক মূর্তি। মূলত এক-দেড় ফুট উচ্চতার মূর্তিই বেশি বিক্রি হয়। মূলত চারশো থেকে আটশো টাকার মধ্যেই দাম ঘোরাফেরা করে। বড় মূর্তিগুলি বিক্রি হয় দেড় থেকে দু’হাজার টাকায়।
পাঁচশো ও একহাজার টাকার নোট বাতিল ঘোষণা হয়েছে গত সপ্তাহে। ব্যাঙ্কে নোট বদল হলেও এখন অনেকের কাছেই অচল নোট রয়েছে। দোকানদাররাও অনেকে এই নোট নিতে চাইছেন না। ফলে বিক্রিতেও ভাটা। ঘাটালের এক শিল্পী অনন্ত মাউড় বলেন, “শহরে ২২টি দোকান রয়েছে। ফি বছর প্রতিটি দোকানে তিনশো থেকে চারশো কার্তিক মূর্তি বিক্রি হয়। পুজোর দিন দু’তিন আগে থেকেই দোকান ফাঁকা হয়ে যায়।’’ তাঁর দাবি, ‘পাঁচশো ও এক হাজার নোট টাকা বাতিল হওয়ায় খদ্দের এলেও ঘুরিয়ে দিতে হচ্ছে। সোনার কারিগররা তো দোকানমুখো হয়নি।”
ক্ষীরপাই ব্লকের শ্রীনঘরের এক দোকান মালিক তো বলেই ফেললেন, “এখন পর্যন্ত গোটা পঞ্চাশেক মূর্তি বিক্রি হয়েছে। গত তিন দিন ধরে কোনও খদ্দের নেই। অনেকে ধার চাইছেন। কিন্তু ধারে বিক্রি করলে টাকা আর ঘর ঢুকবে না। তাই ক্রেতাদের ফিরিয়ে দিচ্ছি।”
পুজো উপলক্ষে বাইরে কাজ করতে যাওয়া সোনার কারিগরেরাও বাড়ি ফেরেন। যদিও মাস কয়েক ধরেই সোনা ব্যবসায় মন্দা। অনেক সোনার কারিগর কাজ হারিয়ে অন্য জীবিকা বেছে নিচ্ছেন। দাসপুরের সামাটের এক সোনার কারিগর সুশান্ত বসাক বলেন, “ইতিমধ্যেই অনেক কারিগর বাড়ি ফিরে এসেছেন। আরও অনেকে ফিরছেন। তবে এখন আমাদের যা অবস্থা পুজোয় আনন্দ করা বিলাসিতার সমান।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy