ক্যাম্পাসে তখন বচসা চলছে। নিজস্ব চিত্র।
কলেজের পরে এ বার বিশ্ববিদ্যালয়। হুমকি-মারধর-বিক্ষোভের আবহেই ছাত্র নির্বাচনের মনোনয়ন-পর্ব শুরু হল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানে মনোনয়ন-পর্ব শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। চলবে আজ, মঙ্গলবার পর্যন্ত। এ দিন মনোনয়ন তুলতে গেলে ডিএসও-র কর্মী-সমর্থকদের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) মনোনয়নে বাধা দেয় বলে অভিযোগ।
ডিএসও-র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি দীপক পাত্র বলেন, “দীর্ঘক্ষণ কাউন্টার অবরোধ করে আমাদের মনোনয়ন তুলতে বাধা দেয় টিএমসিপি। কয়েকজনকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন জমা দিতে আসার পথে কয়েকজনকে তুলেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” টিএমসিপি অবশ্য সব অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছে। সংগঠনের জেলা নেতা তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক স্বদেশ সরকার বলেন, “মনোনয়নে বাধা দেওয়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি। প্রার্থী খুঁজে না পেয়ে ওরা গল্প তৈরি করছে।” কাউন্টার অবরোধ করা হয়নি? স্বদেশের মন্তব্য, “না, না, এমন কিছু হয়নি।” তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সূত্রে খবর, এ দিন শুধু টিএমসিপিরই ১১০ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
বিনা লড়াইয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশিরভাগ কলেজের ছাত্র সংসদ দখল করেছে টিএমসিপি। এ বার তাদের নজরে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদে আসন সংখ্যা ১৩৭। ডিএসও বেশ কিছু আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল বলে সংগঠনের এক সূত্রে খবর। কিন্তু শেষমেশ বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি কতগুলি আসনে প্রার্থী দিতে পারে সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এসএফআইয়ের জেলা সভাপতি সৌমিত্র ঘোড়ই বলছিলেন, “জোরজুলুম চলছে। গণতান্ত্রিক পরিবেশে সুষ্ঠু ভাবে ভোট হলে টিএমসিপি নিশ্চিত ভাবেই হারত।”
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মাত্র ২৯টি আসনে ভোট হয়েছিল। বাকিগুলিতে বিনা লড়াইয়ে জিতেছিল টিএমসিপি। আর ২৯টি আসনের মধ্যে ১২টি পেয়েছিল এসএফআই, ৬টি ডিএসও, আর ১১টি পেয়েছিল টিএমসিপি। এ বার ক’টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিএমসিপি জেতে, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে আজই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy