কখনও রাজনৈতিক অশান্তি। আবার কখনও অসুস্থতা। নানা কারণে প্রধানের অনুপস্থিতিতে গত তিন মাস ধরে খেজুরি-১ ব্লকের বীরবন্দর গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বাভাবিক কাজকর্ম বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ‘নির্দেশে’র পরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি বলে অভিযোগ।
গত অগস্ট থেকে বীরবন্দর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান সন্তোষ চৌহান নিয়মিত পঞ্চায়েত অফিসে যান না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দাবি, এর ফলে জন্ম- মৃত্যুর শংসাপত্র নেওয়া বা অন্য কোনও পরিষেবা পেতে আমজনতার ভোগান্তি হচ্ছে। গত মাসে বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের পর ত্রাণ বিলি নিয়েও এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে অসন্তোষ চরমে পৌঁছেছিল বলে অভিযোগ। শেষে বাসিন্দাদের একাংশ বিডিও’র অফিস থেকে ত্রাণ বিলি করার দাবি জানিয়েছিলেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটের পর থেকে বীরবন্দর এলাকায় গেরুয়া শিবির জমি শক্ত করেছে। গত অগস্ট থেকে বিজেপি এবং তৃণমূলের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, ওই সময় থেকেই বিজেপির লোকে পঞ্চায়েত প্রধানকে দফতরে ঢুকতে বহুবার বাধা দিয়েছে। ওই সব সমস্যাগুলির ব্যপারে গত ২৪ নভেম্বর খেজুরি কলেজে দলীয় সভায় গিয়ে সরব হয়েছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী। গ্রাম প্রধানকে পঞ্চায়েত দফতরে গিয়ে কাজে যোগ দিতে বাধা দেওয়ার জন্য গেরুয়া শিবিরকে ‘সতর্ক’ করে দিয়েছিল শুভেন্দু। পাশাপাশি, ওই পঞ্চায়েতকে সচল করার জন্য আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন।