Advertisement
E-Paper

দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ নেই, রোগীদের ভোগান্তি মেডিক্যালে

অধ্যক্ষের সংযোজন, “কখনও কখনও বিদ্যুতের কাজের জন্য, বিশেষত ফেজ পরিবর্তন করতে হলে বিদ্যুৎ পরিষেবা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আগে থেকে জানানো হয়। আমরা জানতে পারলে সেই মতো ব্যবস্থা নিই। এ দিন আমাদের কিছু জানানো হয়নি।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৭ ০১:৩৩
হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।—ফাইল চিত্র।

হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।—ফাইল চিত্র।

দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকায় সমস্যায় পড়লেন মেদিনীপুর মেডিক্যালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের রোগী ও তাদের পরিজনেরা। ঘটনাটি রবিবার দুপুরের। মেডিক্যালে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। তাও লোডশেডিং হলে বিকল্প হিসেবে জেনারেটরের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এ দিন দুপুরে দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

কেন এই পরিস্থিতি? লোডশেডিংয়ের জন্য রোগী ও তাঁদের রোগীর পরিজনেরা তো সমস্যায় পড়েছেন?

মেদিনীপুর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, “হাসপাতালের ওয়ার্ড বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার কথা নয়। বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি ঠিক কী হয়েছে।”

অধ্যক্ষের সংযোজন, “কখনও কখনও বিদ্যুতের কাজের জন্য, বিশেষত ফেজ পরিবর্তন করতে হলে বিদ্যুৎ পরিষেবা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আগে থেকে জানানো হয়। আমরা জানতে পারলে সেই মতো ব্যবস্থা নিই। এ দিন আমাদের কিছু জানানো হয়নি।”

এ দিন দুপুরে হাসপাতালের পুরনো ভবনের বিভিন্ন ওয়ার্ড দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। হাসপাতালের এক সূত্রে খবর, এই ভবনের একতলায় বিদ্যুতের তারে কিছু ত্রুটি ধরা পড়ে।

ত্রুটি মেরামতের জন্যই বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। হাসপাতালের এক কর্তার কথায়, “খোঁজ নিয়ে জেনেছি, হাসপাতালের একতলায় এক ওয়ার্ডের পাশে ডি-বক্স রয়েছে। এই বক্স থেকেই কয়েকটি ওয়ার্ডে বিদ্যুতের তার গিয়েছে। এখানে কিছু মেরামতের কাজ এ দিন করা হয়। এর জন্যই হয়তো কয়েকটি ওয়ার্ডে কিছুক্ষণের জন্য লোডশেডিং ছিল।” তাঁর দাবি, “বড় কোনও সমস্যা হয়নি।”

হাসপাতালের পুরনো ভবনটি বিধান-ব্লক বলে পরিচিত। তিনতলা এই ভবনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ওয়ার্ড রয়েছে। শিশু ওয়ার্ড যেমন রয়েছে, তেমনই অপারেশন থিয়েটারও রয়েছে। সার্জারি ওয়ার্ড, অর্থোপেডিক ওয়ার্ড প্রভৃতিও রয়েছে।

এক সময়ে মেদিনীপুরে লোডশেডিং হলে এই হাসপাতালও লোডশেডিংয়ের কবলে চলে যেত। তখন প্রায়শই নানা সমস্যা হত। লোডশেডিংয়ের জন্য পরিষেবাও ব্যাহত হত। পরিস্থিতি দেখে বেশ কয়েক বছর আগে হাসপাতালে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করার জন্য পদক্ষেপ করা হয়।

বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে হাসপাতালের কথাও হয়। সেই মতো নতুন তার বসানো হয়। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়। অর্থাৎ, এখন পুরো মেদিনীপুরে লোডশেডিং হলেও হাসপাতালে লোডশেডিং হবে না। বড় ধরণের কোনও বিপর্যয় না- হলে। হঠাৎ করে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য হাসপাতালে একাধিক জেনারেটরও রয়েছে।

রোগীর পরিজনেদের বক্তব্য, এ দিন দুপুরে লোডশেডিং হলেও জেনারেটর চালানো হয়নি। হাসপাতালের এক কর্তা অবশ্য বলেন, “জেনারেটর চালিয়েও লাভ হত না। কারণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ যে তারের মাধ্যমে হয় সেই তারই মেরামত করা হচ্ছিল।” তবে এই কর্তার স্বীকারোক্তি, “হাসপাতালে খুব বেশি সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হওয়াটা অনুচিত।”

Midnapore Medical College Midnapore power cut
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy