রুদ্ধ: লেভেল ক্রসিংয়ে আটকে গাড়ি। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
এক যুগেরও বেশি সময় হল পুরসভায় উত্তীর্ণ হয়েছে এই শহর। কিন্তু নগরায়ণের তেমন ছাপ নেই। লেভেল ক্রসিংয়ে আটকে শহরের গতি। আজ তৃতীয় কিস্তি।
লেভেল ক্রসিংয়ে আটকে ভোগান্তির ছবি নতুন নয়। এ নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগও দীর্ঘদিনের। তারপরও ফ্লাইওভার পেল না পাঁশকুড়া। অথচ, এখানে ফ্লাইওভার হলে ভোগান্তি তো মিটতই। পাশাপাশি গতি পেত শহরটাও।
লেভেল ক্রসিংয়ে ফ্লাইওভার যে জরুরি, মানছে পুরসভা। এখানে যানজটের সমস্যার কথাও মানছেন পুরকর্তারা। পাঁশকুড়ার পুরপ্রধান জাকিউর রহমান খানের স্বীকারোক্তি, “শহরে এটা একটা বড় সমস্যা। এখানে ফ্লাইওভার তৈরির দাবি যুক্তিসঙ্গত। দেখা যাক, কী করা যায়!”
পাঁশকুড়া স্টেশনের কাছে রয়েছে এই লেভেল ক্রসিং। রোজ হাজার হাজার মানুষ এই ক্রসিংয়ে আটকে পড়েন। ক্রসিং বন্ধ থাকলে অনেকে বাধ্য হয়ে লাইন পেরিয়ে যাতায়াত করেন ঝুঁকি নিয়েই। কাছেই রয়েছে পাঁশকুড়া বনমালী কলেজ। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে একাধিক বিএড কলেজ, একাধিক বাংলা ও ইংরাজি মাধ্যমের স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল, বাজার প্রভৃতি। শহরের বাসিন্দা সৌরভ পাত্র, বর্ণালী জানার অভিযোগ, “এই ক্রসিংয়ের সামনে রোজ যানজট হয়। একটা ট্রেন এলে দু’দিকে গাড়ি আটকে পড়ে। শুনেছি ফ্লাইওভার হবে। কবে কে জানে!”
দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে (হাওড়া-জকপুর) প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অজয় দলুইয়ের কথায়, “এই লেভেল ক্রসিংয়ের ওপর ফ্লাইওভার খুব জরুরি। রেলের এ বিষয়ে ভাবা উচিত।”
পাঁশকুড়া দিয়ে প্রতিদিন কয়েকশো ট্রেন চলাচল করে। ট্রেন এলেই ক্রসিংয়ের গেট পড়ে। আটকে ভোগান্তিতে পড়েন মানুষজন। সমাধানে কেন রেল উদ্যোগ নিচ্ছে না? দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, “পাঁশকুড়ায় ফ্লাইওভার তৈরি নিয়ে সমীক্ষা হয়েছে।” রেলের এক কর্তার কথায়, “রেল-রাজ্য যৌথ ভাবেই সমীক্ষা করেছে। পুরসভাও সহযোগিতা করেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy