লাইসেন্স থাকলেও জনবহুল এলাকায় মদের দোকান হলে অশান্তি বাড়ার আশঙ্কায় সরব হলেন মেদিনীপুরের প্রগতিনগরের বাসিন্দারা। বুধবার সকালে প্রগতিনগরে মদের দোকান খুলতে যান মালিক ব্রতীন সাহা। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয়রা। পুলিশের সামনেই চলে বিক্ষোভ। আবগারি দফতরের জেলার সুপার সুব্রত দাশগুপ্ত বলেন, “হাইকোর্ট ওই দোকান খোলার নির্দেশ দিয়েছে।” তাঁর কথায়, “শুনেছি এ দিন ওই এলাকায় একটা সমস্যা হয়েছে। দেখছি ঠিক কী হয়েছে!” প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, দুপুরে আবগারি দফতরের এক কর্তা এলাকায় যান। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।
খড়্গপুরের মালঞ্চ-য় একটি মদের দোকান ছিল ব্রতীনবাবুর। তাঁর লাইসেন্সও রয়েছে। ওই দোকানটিই খড়্গপুর থেকে মেদিনীপুরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। দোকান খোলার জন্য ২০১০ সালে মেদিনীপুর শহরের প্রগতিনগরে জায়গা কেনেন। পরে দোকানঘর তৈরি হয়। এলাকাবাসীর অবশ্য দাবি, এই এলাকায় মদের দোকান হতে পারে না। শহরে নেশাখোরদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মদের দোকান খোলা হলে এই এলাকাতেও নতুন একটি ঠেক গজিয়ে উঠবে স্থানীয় বাসিন্দা চৈতালি বিবি, দীপমালা গুছাইতরা বলেন, “জনবহুল এই এলাকায় মদের দোকান হতে পারে না। সামনে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। মদের দোকান খোলা হলে এলাকার পরিবেশ অন্য রকম হবে।’’
এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছেন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কল্পনা মুখোপাধ্যায়ও। কল্পনাদেবী বলেন, “আমি শুরু থেকেই এই মদের দোকানের বিরুদ্ধে। এটা জনবহুল এলাকা। আশপাশে বাড়ি রয়েছে। কী ভাবে এখানে মদের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয় বুঝতে পারছি না!” তাঁর কথায়, “এক সময় আমি পুরসভায় গিয়ে বিষয়টি জানিয়ে এসেছিলাম। বলেছিলাম, এখানে যেন মদের দোকান না হয়। এলাকাবাসীর
দাবি যুক্তিসঙ্গতই।”
ওই মদের দোকানের মালিক ব্রতীনবাবুর বক্তব্য, দোকানের জন্য তিনি যখন এই জায়গা কেনেন তখন আশপাশে বসতি ছিল না। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও ছিল না। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো বুধবার সকালে পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই দোকান খুলতে আসেন ব্রতীনবাবু। তখনই শুরু হয় বিক্ষোভ। তাঁর বক্তব্য, “কেন এই বিরোধিতা বুঝতে পারছি না।” যদিও আবগারি দফতরের এক কর্তার দাবি, “এ ক্ষেত্রে আমাদের সরাসরি কিছু করার নেই। কেউ বৈধ ভাবে ব্যবসা করতে চাইলে তো না বলা যায় না।” নিজস্ব চিত্র।
স্মরণসভা। চলে গেলেন কবি রামেশ্বর পাণিগ্রাহী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে। মঙ্গলবার রাতে তিনি প্রয়াত হন। রামেশ্বরবাবু বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। বেশ কয়েক মাস ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। বুধবার মেদিনীপুরে লিটল ম্যাগাজিন মেলা নিয়ে এক আলোচনাসভা হয়। সভায় প্রয়াত কবিকে স্মরণ করা হয়।