Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

বাড়ির পিছনেই মহিলার দেহ, ধর্ষণ-খুনের নালিশ

বাড়ির কাছেই উদ্ধার হল আদিবাসী এক মহিলার দেহ। মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়ার দেউলডাঙার ঘটনা । পরিজনেদের অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। তবে অভিযোগে কারও নাম নেই।

নিহতের মেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। নিজস্ব চিত্র।

নিহতের মেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চাঁদড়া শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৬ ০৭:১৩
Share: Save:

বাড়ির কাছেই উদ্ধার হল আদিবাসী এক মহিলার দেহ। মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়ার দেউলডাঙার ঘটনা । পরিজনেদের অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। তবে অভিযোগে কারও নাম নেই। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, “দেউলকুণ্ডায় এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাটি ঠিক কী দেখা হচ্ছে।” ওই মহিলাকে কি ধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছে? পুলিশ সুপারের জবাব, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই এ ব্যাপারে কিছু বলা সম্ভব।”

ওই মহিলার স্বামী বেশ কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। ছেলে গোয়ায় ঠিকা-শ্রমিকের কাজ করেন। আর মেয়ের বিয়ে হয়েছে ঝাড়গ্রামের বাঁদরবনিতে। বুধবার বুদ্ধেশ্বর টুডু নামে গ্রামের এক যুবকের বিয়ে ছিল। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত সপ্তাহে বাড়িতে এসেছিলেন মহিলার মেয়ে ও জামাই। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার দুপুরে পড়শি যুবকের বিয়েতে গিয়েছিলেন বিধবা ওই মহিলা। বিকেলে তিনি বাড়ি ফেরার পরে বিয়েবাড়ি যান মেয়ে-জামাই। তখন ওই মহিলা খাটিয়ায় শুয়েছিলেন। কিন্তু রাতে বিয়েবাড়ি থেকে ফিরে মেয়ে-জামাই দেখেন, খাটিয়া রয়েছে। কিন্তু মা নেই। সারা রাত খুঁজেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পিছনের দিকে গিয়ে মায়ের দেহ দেখেন মেয়ে। মধ্যবয়সী মহিলার পরনে পোশাক ছিল না। তাই ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে পরিজনদের অনুমান। নিহতের মেয়ে বলছিলেন, “মাকে মেরেই ফেলা হয়েছে। মনে হয়, গলা টিপে খুন করা হয়েছে। গায়ে কাপড় ছিল না। খুন করার আগে মায়ের সঙ্গে খারাপ কিছু করা হয়েছে।” জামাইয়েরও বক্তব্য, “কেউ বা কারা শাশুড়ি মা-কে খুনই করেছে।” এ দিন সকালে শালবনি থেকে দেউলডাঙায় এসেছিলেন মহিলার ভাই। তিনিও বলেন, “দিদিকে ধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছে।”

কিন্তু কারা খুন করল বলতে পারেননি পরিজনেরা। নিহতের মেয়ের কথায়, “মায়ের সঙ্গে তো কারও ঝগড়া ছিল না। কারা খুন করল বুঝতে পারছি না।”

এ দিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। পরিজনদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলেন জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তারা। প্রতিবেশী গুরাই টুডু বলেন, “আমরা সকলেই বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। কখন কী ভাবে এই ঘটনা ঘটেছে কিছুই বুঝতে পারিনি।” একই দাবি বিজয় হেমব্রম, জবা হেমব্রমের মতো গ্রামবাসীদের।

জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “মহিলার দেহের বাইরে কোনও আঘাত নেই। তাঁর সঙ্গে কারও শক্রুতাও ছিল না বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। তাই কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল, উদ্দেশ্যই বা কী ছিল, তা দেখা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Police deceased body Rape murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE