চলছে রাস্তার ধার পরিষ্কার। —নিজস্ব চিত্র।
রাস্তা দখল করে বাড়ি তৈরির সরঞ্জাম বিক্রি বন্ধে এ বার অভিযানে নামল পুলিশ। সরকারি রাস্তা দখল করে বালি-ইঁট ফেলে রেখে ব্যবসা করার অভিযোগে ১২জন ব্যবসায়ীরা বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যত্রতত্র বাস-লরি স্ট্যান্ড করে রাখার অভিযোগে এক ট্রাক মালিকের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘাটালের মহকুমাশাসক পিনাকীরঞ্জন প্রধান বলেন, “অভিযান চলবে। রাস্তা আটকে বেআইনি কোনও ব্যবসা বা যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকলেই সংশ্লিষ্ট মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।”
দীর্ঘদিন ধরেই ঘাটাল শহরে রাস্তা দখল করে বালি-ইঁট ফেলে রেখে ব্যবসা চলছিল। সঙ্গে রাস্তার উপরই সার সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত বাস-লরি। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমায় এটি একটা বড় সমস্যা হয়ে উঠেছিল। রাস্তা বেদখল হয়ে যাওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছিলেন এলাকার বাসিন্দারাও। আনন্দবাজার পত্রিকায় এই বিষয়ক খবর প্রকাশের পরই নড়ে বসে প্রশাসন। রাস্তা থেকে বালি-ইঁট সরিয়ে নেওয়ার জন্য পুলিশ-প্রশাসন প্রচার শুরু করে। এমনকী, বাস ও লরি মালিক সংগঠনের লোকজনদের নিয়ে বৈঠকও করেন প্রশাসন। বৈঠকেই স্ট্যান্ড ছাড়া বেআইনি পার্কিং বন্ধ করার আর্জিও জানানো হয়। কিন্তু প্রচারের পরেও দেদার চলছিল ব্যবসা ।বন্ধ হয়নি বেআইনি পার্কিংও। গত শনিবার থেকে ঘাটাল পুলিশ অভিযানে নামে। পুলিশি ধড়পাকড় শুরু হতেই ঘাটাল শহরের বহুদিনের চেনা ছবিও পাল্টাতে শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বাস-লরির সংখ্যা বাড়লেও চওড়া হয়নি রাস্তা। সকাল হলেই রাস্তার উপরই পড়ছিল বালি-সহ বাড়ি তৈরির সরঞ্জাম। এতেই মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছিলেন। অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশ-প্রশাসনের একাংশের যোগসাজসের কারণে ব্যবসাও ফুলে-ফেঁপে উঠেছিল। অবশ্য অবস্থা হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে উদ্যোগী হয় প্রশাসন। মহকুমাশাসক পিনাকীরঞ্জন প্রধানের কথায়, ‘‘রাস্তার ধারে বালি-পাথর পড়লেই থানায় ফোন করে জানান। যেখানে সেখানে বাস দাঁড়ালেও জানান। আমরা সেখানে পৌঁছে কড়া ব্যবস্থা নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy