Advertisement
E-Paper

খন্দ-পথে ভোগান্তি সয়েই নিত্য যাতায়াত

মেচেদা স্টেশন থেকে তমলুক শহরের এই রাস্তাই এক কালে ছিল যাতায়াতের প্রধান পথ। রাস্তার ধারে একাধিক জায়গায় বসত জমজমাট হাট। পরবর্তী সময়ে মেচেদা থেকে হলদিয়াগামী রাজ্য সড়ক হয়েছে। আর তাতেই গুরুত্ব হারিয়েছে এককালের সেই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৬ ০১:২৯
মোরামের সেই রাস্তা। নিজস্ব চিত্র।

মোরামের সেই রাস্তা। নিজস্ব চিত্র।

মেচেদা স্টেশন থেকে তমলুক শহরের এই রাস্তাই এক কালে ছিল যাতায়াতের প্রধান পথ। রাস্তার ধারে একাধিক জায়গায় বসত জমজমাট হাট। পরবর্তী সময়ে মেচেদা থেকে হলদিয়াগামী রাজ্য সড়ক হয়েছে। আর তাতেই গুরুত্ব হারিয়েছে এককালের সেই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। তবে এলাকার বাসিন্দাদের কাছে মেচেদা স্টেশন ও বাজার থেকে রামতারক বাজারগামী পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ সেই রাস্তার গুরুত্ব কমেনি আজও। কিন্তু এককালের বাস চলাচলের সেই রাস্তাটি এখনও মোরামের। সংস্কারের অভাবে রাস্তার খানাখন্দে ভরা এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত নিত্যদিনের ভোগান্তি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও রাস্তা সারাই হচ্ছে না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেচেদা স্টেশন বাজার থেকে রামতারক বাজার, বল্লুকহাট, কাঁকটিয়া হয়ে তমলুক শহর পর্যন্ত রুটে একসময় কয়েকটি বাস চলাচল করত। পরে মেচেদা–হলদিয়া রাজ্য সড়ক চালু হয়। তখন মেচেদা স্টেশন থেকে রামতারক বাজার পর্যন্ত রাস্তায় বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে সেই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন অনেকেই। ওই রাস্তার পাশেই রয়েছে দাঁড়িয়ালা হাইস্কুল, দাঁড়িয়ালা গার্লস হাইস্কুল, একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শান্তিপুর- ২ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস।

এলাকার প্রবীণ বাসিন্দারা জানান, ১৯৭৮ সাল নাগাদ এই রাস্তায় ইট ফেলে মাড়াই করে রাস্তার কিছুটা উন্নতি করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এই রাস্তায় মোরাম ফেলা হয়েছিল। কিন্তু এখনও ওই রাস্তা সেই মোরামেরই। একসময় এই রাস্তা দিয়ে পানের ঝুড়ি বয়ে নিয়ে যেতেন আকন্দি গ্রামের বাসিন্দা তুলসীচরণ দাস। ৮৪ বছরের তুলসীবাবুর কথায়, ‘‘গত প্রায় ১৫ বছর ধরে শুনে আসছি এই রাস্তা পাকা হবে। কিন্তু পাকা হওয়া দূরের কথা, খানাখন্দে ভরে গিয়েছে রাস্তা।’’ শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তনুশ্রী জানার কথায়, ‘‘ওই রাস্তা পাকা করার জন্য ইতিমধ্যে অর্থ বরাদ্দ করেছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ। দ্রুত ওই রাস্তার কাজ হবে।’’

distress poor roads
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy