Advertisement
E-Paper

হাসপাতাল থেকে পলাতক বন্দি

ফের জানলা দিয়ে পালাল বিচারাধীন বন্দি। গত বুধবারই কাঁথি আদালতের পুলিশ লকআপ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন ডাকাতির অভিযোগে ধৃত এক ব্যক্তি। শুক্রবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালের শৌচাগার থেকে পালালেন ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত এক বন্দি। বছর চব্বিশের ওই যুবকের নাম সমরেশ প্রামাণিক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৫ ০০:২২

ফের জানলা দিয়ে পালাল বিচারাধীন বন্দি। গত বুধবারই কাঁথি আদালতের পুলিশ লকআপ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন ডাকাতির অভিযোগে ধৃত এক ব্যক্তি। শুক্রবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালের শৌচাগার থেকে পালালেন ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত এক বন্দি। বছর চব্বিশের ওই যুবকের নাম সমরেশ প্রামাণিক।

গত ৫ অক্টোবর নন্দকুমার থানার পুলিশ গ্রেফতার করে ময়না এলাকার বাসিন্দা সমরেশকে। তাঁর বিরুদ্ধে নন্দকুমারের এক তরুণীকে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছিল। বিচারাধীন অবস্থায় জেলা উপ-সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল সমরেশকে। কিন্তু বুধবার থেকেই তাঁর পেটের গোলমাল শুরু হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয় জেলা হাসপাতালে। আইসোলেশন ওয়ার্ডে পুলিশি প্রহরায় চিকিৎসা চলছিল সমরেশের। এ দিন হাতে স্যালাইনের নল লাগানো অবস্থায় শৌচাগারে জানলা খুলে পালান তিনি।

খোদ জেলা হাসপাতাল থেকে আসামী পালানোর ঘটনায় পুলিশ কর্মীদের গাফিলতির পাশাপাশি হাসপাতালের পরিকাঠামো ও গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণত বিচারাধীন বন্দিদের চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে মূল ভবনে পুরুষ বিভাগ লাগোয়া একটি ঘরে রাখা হয়। কিন্তু সমরেশ পেটের অসুখ নিয়ে ভর্তি হওয়ায় তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। সেখানে পাহারায় ছিলেন তিন জন পুলিশ কর্মী।

শুক্রবার সকাল ১০ টা নাগাদ সমরেশ জল খেতে চায়। এক পুলিশ কর্মী জল আনতে গেলে, সমরেশ অন্য দু’জন পুলিশ কর্মীকে শৌচালয়ে যাওয়ার কথা জানান সমরেশ। ওই দু’জনের পাহারায় সমরেশ শৌচালয়ের ভিতরে ঢুকে ছিটকিনি তুলে দেন। শৌচালয়ের ভিতরে থাকা বাতিল আসবাবপত্র জড়ো করে তা দিয়ে উপর উঠে জানালার কাচ খুলে পালান বলে অভিযোগ। এ দিন জেলা হাসপাতালের গিয়ে দেখা যায় শৌচালয়ের ভিতরে বেশ কয়েকটি বাতিল আসাবাবপত্র ফেলে রাখা হয়েছে। কয়েকমাস আগেও জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক বন্দি একইভাবে শৌচালয়ের জানালার লোহার শিক খুলে পালিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য পুলিশ তাঁকে ধরে। পরিকাঠামোগত খামতির কথা স্বীকার করে হাসপাতাল সুপার গোপাল দাস বলেন, ‘‘আইসোলেশন ওয়ার্ডে বিচারাধীন বন্দিদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা নেই এখনও। তবে পুলিশ পাহারা ছিল। ফলে কী ভাবে বন্দি পালালো তা নিয়ে পুলিশই বলতে পারবে।’’ জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পুলিশ কর্মীদের কোনও গাফিলতি ছিল কিনা তাও দেখা হচ্ছে।’’

Prisoner hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy