Advertisement
E-Paper

টিচার ইন চার্জের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের

ছাত্রীদের ‘অসংযত আচরণের’ প্রতিবাদ করেছিলেন কলেজের টিচার-ইনচার্জ। পশ্চিম মেদিনীপুরের জামবনি ব্লকের সেবাভারতী মহাবিদ্যালয়ের টিচার-ইনচার্জ সুতপা ঘোষ কয়েকদিন আগে এক ছাত্রীকে চড়ও মেরেছিলেন বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৬ ০২:৩৩

ছাত্রীদের ‘অসংযত আচরণের’ প্রতিবাদ করেছিলেন কলেজের টিচার-ইনচার্জ। পশ্চিম মেদিনীপুরের জামবনি ব্লকের সেবাভারতী মহাবিদ্যালয়ের টিচার-ইনচার্জ সুতপা ঘোষ কয়েকদিন আগে এক ছাত্রীকে চড়ও মেরেছিলেন বলে অভিযোগ। তার জেরে সুতপাদেবীর অপসারণের দাবিতে মঙ্গলবার কাপগাড়ি এলাকায় কলেজের গেটের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেছেন আবাসিক ও সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। এই আন্দোলনের পিছনে টিএমসিপি-র একটি গোষ্ঠীর ইন্ধনও রয়েছে বলে সূত্রের খবর। এ দিন অবশ্য সুতপাদেবী কলেজে আসেননি।

ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের ফলে, কলেজের ভিতরে আটকে পড়েন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে ৫০ জন। সুতপাদেবী টিচার-ইনটার্জের পদ থেকে ইস্তফা না দেওয়া পর্যন্ত কলেজের গেটে লাগাতার বিক্ষোভ চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা।

কিছুদিন আগে বিপিএডের আবাসিক ছাত্রীদের হস্টেল নিয়ে সমস্যা হয়। সূত্রের খবর, হস্টেলে কিছু ছাত্রী অসংযত পোশাকপরেন, এই অভিযোগে তাঁদের বকাবকি করেন সুতপাদেবী। প্রতিবাদে বিপিএডের আবাসিক ছাত্রীরা খাবার বয়কট করেন। সমস্যা মেটানোর জন্য গত ১২ অগস্ট ছাত্রীদের আলোচনায় ডাকেন সুতপাদেবী। অভিযোগ, আলোচনার সময় কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে সুতপাদেবীর কথা কাটাকাটি শুরু হয়। মেজাজ হারিয়ে সুতপাদেবী ময়না দাস নামে বিপিএডের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে চুলের মুঠি ধরে সপাটে থাপ্পড় মারেন বলে অভিযোগ। তাঁকে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ১৪ অগস্ট হাসপাতাল থেকে ময়না ছাড়া পান। এ বিষয়ে জামবনি থানায় সুতপাদেবীর বিরুদ্ধে মেয়েকে মারধরের অভিযোগ করেন ময়নার বাবা দীপক দাস। ঘটনা হল, এই কলেজে সাধারণ বিভাগের পাশাপাশি, বিপিএড বিভাগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কলেজের শিক্ষকদের একাংশের সঙ্গে নানা বিষয়ে সুতপাদেবীর মতবিরোধ চলছে। গত ৫ জুলাই কলেজের গভর্নিং বডি-র মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তারপর নতুন গভর্নিং বডি গঠন করা হয়নি।

সুতপাদেবীর বক্তব্য, “বিপিএড ছাত্রীদের হস্টেলে কিছু অসংযত কাজকর্ম চলছিল। সেগুলো আটকাতে চেয়েছিলাম। তাই আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।” বিপিএড ছাত্রীদের দাবি, ট্রাউজার আর গেঞ্জি পরে খেলাধুলো করতে হয়। অথচ এই পোশাক নিয়েই আপত্তি তোলেন টিচার-ইনচার্জ।

Teacher in charge college
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy