শাসকের দ্বন্দ্বে আর দাঁড়ি পড়ছে না। কোন্দল এ বার প্রকাশ্যে কেশপুরের সরিষাখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতে। দলের প্রধানের বিরুদ্ধেই সরব হলেন তৃণমূলের উপপ্রধান-সহ পঞ্চায়েতের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য। এ নিয়ে আলোচনা শুধু ব্লকে আটকে নেই। তা জেলায় পৌঁছেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রধানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে বিডিও-র কাছে!
সরিষাখোলা পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যা ১৯। সকলেই তৃণমূলের। কেশপুরের বিডিও উৎপল ঘোষের দফতরে প্রধান সঞ্জয় করণের বিরুদ্ধে যে অভিযোগপত্র জমা পড়েছে, সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সই রয়েছে। যা জেনে শাসক দলের এক জেলা নেতার মন্তব্য, “এ তো অনাস্থা আনার উপক্রম!” যদিও তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পান বলেন, “ওখানে অনাস্থা আসেনি। আসার প্রশ্নও নেই!’’ বেশিরভাগ নির্বাচিত সদস্য যে প্রধানকে সরিয়ে দিতে চাইছেন? এ বার সঞ্জয়বাবুর জবাব, ‘‘এক পদের একাধিক দাবিদার থাকতেই পারে। এ আর নতুন কী!”
তৃণমূল সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জয় করণের সঙ্গে উপপ্রধান সুবিমল ঘোড়ইয়ের বিরোধ বহু দিনের। শুধু সুবিমলবাবুই নন, বেশির ভাগ পঞ্চায়েত সদস্যও প্রধানের কাজকর্মে অসন্তুষ্ট। ইতিমধ্যে তাঁরা দলের কাছেও নালিশ ঠুকেছেন। অভিযোগ, প্রধান ইচ্ছেমতো কাজ করছেন। তবে সঞ্জয়বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। বুধবার দিনভর তাঁর মোবাইল বন্ধ ছিল। আর কোন্দল নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ উপপ্রধান সুবিমলবাবুও। তিনি শুধু বলেন, “বিভিন্ন রকম সমস্যা রয়েছে। যা জানানোর দলকে জানানো হয়েছে। সমাধানের প্রক্রিয়া চলছে।”
বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরপরই পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশ কিছু পঞ্চায়েতে তৃণমূলের কোন্দলের জেরে অনাস্থা এসেছে। এতে বিড়ম্বনায় জেলা নেতৃত্ব। দিন কয়েক আগে মেদিনীপুরে দলের এক সভায় তৃণমূলের নবনিযুক্ত জেলা সভাপতি অজিত মাইতি জানিয়ে দিয়েছেন, এ ভাবে অনাস্থা আনলে তা বরদাস্ত করা হবে না। এ দিন অজিতবাবু বলেন, “কেশপুরের কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা আসেনি। আসবেও না!” সরিষাখোলায় কোনও সমস্যা হয়নি? কেউ দলের কাছে কোনও অভিযোগ জানায়নি? এ বার অজিতবাবুর দাবি, “এ সব উড়ো খবর!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy