Advertisement
E-Paper

ডেঙ্গি সচেতনতা কই, মঞ্জুর মৃত্যুতে প্রশ্ন মঙ্গলপুরে

শহরের ডেঙ্গি আতঙ্ক এখন প্রত্যন্ত গ্রামে। অন্তত মঞ্জু রাউলের জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পর মঙ্গলপুর গ্রামে এখন অনেকেই ডেঙ্গি নিয়ে চিন্তায়। মঞ্জুর রক্ত পরীক্ষার নমুনায় ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া গিয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৮ ০১:১২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

শহরের ডেঙ্গি আতঙ্ক এখন প্রত্যন্ত গ্রামে। অন্তত মঞ্জু রাউলের জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পর মঙ্গলপুর গ্রামে এখন অনেকেই ডেঙ্গি নিয়ে চিন্তায়। মঞ্জুর রক্ত পরীক্ষার নমুনায় ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া গিয়েছিল। রোগের লক্ষণ নির্বাচনে দেরি, সঠিক সময়ে চিকিৎসার অভাবে গত শনিবার ওড়িশার কটকে মৃত্যু হয় মঞ্জুর। রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি প্রতিরোধে স্বাস্থ্য দফতর ঢালাও প্রচারাভিযান চালালেও তাতে কাজ কতটা হয়েছে, মঙ্গলপুর গ্রামে মঞ্জুর মৃত্যু সেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

গ্রামের অনেকে জানালেন, ডেঙ্গি মশা আসলে দেখতে কেমন, কখন কামড়ায় এবং ডেঙ্গি রুখতে কী ধরনে সতর্কতা প্রয়োজন সে সব সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই তাঁদের। আর্র তাই গ্রামে জ্বরে মৃত্যু নিয়ে অনেকেই আতঙ্কিত। এগরা মহকুমার পটাশপুর ২ নম্বর ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে মঙ্গলপুর গ্রামের মানুষ মূলত কৃষি নর্ভর। গ্রামে একটি প্রাথমিক স্কুল এবং উচ্চ প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। রয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। গ্রামের গিয়ে দেখা গেল, মঞ্জুদেবীদের বাড়ির চারপাশে ঘন ঝোপঝাড়। একাধিক নোংরা ডোবা এবং জলাশয় থাকায় সহজেই মশার আঁতুড়ঘর তৈরি হয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামের মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীরা আসলেও মাঝেমধ্যে এলেও নিয়মিত ব্লিচিং কিংবা মশা মারার তেল ছড়ানো হয় না। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকেও এখানে ডেঙ্গি নিয়ে সেভাবে কোনও প্রচার বা নজরদারি নেই। বস্তুত, অবহেলাতেই পড়ে রয়েছে মঙ্গলপুর।

গ্রামবাসী হরিপদ পড়্যা বলেন, ‘‘মাস দুয়েক আগে গ্রামেরই দু’জন জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন তবে তা ডেঙ্গি কিনা জানি না। শহরের এক নামী নার্সিংহোমে চিকিৎসার পর তাঁরা সুস্থ হয়ে ফেরেন। এ বার জ্বরে মৃত্যুর খবরে গ্রামে আতঙ্ক তো রয়েছেই।’’

এ বিষয়ে শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গৌতম জানা বলেন, ‘‘জ্বরে মঞ্জুদেবীর মৃত্যুর ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। শুনেছি ওঁর রক্তের রিপোর্টে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে ওই গ্রামে মেডিক্যাল ক্যাম্প বসানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করে কেউ জ্বরে আক্রান্ত রয়েছে কিনা খোঁজ নেওয়া হবে। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতার প্রচার অব্যাহত।’’

পটাশপুর-২ নম্বর ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক গৌরাঙ্গ শীল বলেন, ‘‘সোমবার ওই গ্রামে যুগ্ম বিডিওর নেতৃত্বে একটি মেডিক্যাল দল গিয়েছিল। গ্রামের মানুষদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আর কেউ এই রোগে আক্রান্ত কিনা দেখা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা গ্রামে গিয়ে ব্লিচিং, মশা মারার তেল ছড়ানোর কাজও শুরু করেছে। তাই ব্লিচিং কিংবা মশা মারার তেল ছড়ানো হয় না এই অভিযোগ সত্য নয়।’’

Dengue Treatment
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy