শেষ পর্যন্ত পিটিয়ে মারা হল কুড়ি জনকে কামড়ানোকে কুকুরটিকে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত কুড়িজনকে কামড়ে জখম করেছিল কুকুরটিকে। আক্রান্তদের মধ্যে তিনজনকে কোলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতা না পেয়ে স্থানীয় মানুষ নিজেরাই মাইকে প্রচার শুরু করেছিলেন। লোকজনদের বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ষোলো জনকে কামড়ানোর পর ঝোপে লুকিয়েছিল কুকুরটি। রাতে ফের চারজনকে কামড়ায়। শেষমেশ কুকুরটির খোঁজে নেমে ক্ষুব্ধ জনতা তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
যদিও কুকুরটিকে মেরে ফেলা ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক সন্দীপন ভট্টাচার্য। তিনি কুকুরের কামড়ে জখম একাধিক ব্যক্তির চিকিৎসা করেন বৃহস্পতিবার। তিনি জানান, নিয়মমতো কুকুরটিকে নজরে রেখে দেখা উচিত ছিল তার জলাতঙ্ক রোগ ছিল কি না। এ ক্ষেত্রে মরা কুকুরের মাথা নিয়ে যাওয়া উচিত বেলেঘাটায় পাস্তুর ইনস্টিটিউটে। সেখানেই পরীক্ষার পর জানা যাবে কুকুরটির আসল সমস্যা কী ছিল। জলাতঙ্কের জীবাণু পাওয়া গেলে আক্রান্তদের চিকিৎসা সঠিক পথে হওয়া সম্ভব।
সুতাহাটার বিডিও সঞ্জয় শিকদার বলেন, ‘‘কুকুরটিকে মেরে ফেলার বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। দুর্গাচক থানাকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিচ্ছি।’’ যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন কুকুরটিকে পিটিয়ে মারার পর তাঁরা মাটি চাপা দিয়েছেন। স্থানীয় মানুযের অভিযোগ, প্রশাসন পদক্ষেপ করলে এমন অবস্থা হতো না। তাদের নিস্পৃহতায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় জটিলতা বাড়ল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy